পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদকে গ্রেফতার করতে র্যাবসহ একাধিক সংস্থা কাজ করছে। গতকাল পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তার দেশত্যাগের ব্যাপারে সতর্ক ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি।
এদিকে, সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে সাহেদ অপরাধ করলে বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তার স্ত্রী সাদিয়া আরবি রিম্মি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনাকিলাবকে জানান, র্যাবের অভিযানের সময় সাহেদ নিজেকে বাঁচাতে ও তার প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট হাসপাতাল রক্ষায় বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকের কাছে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন। এসব বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা। সাহেদের মোবাইল কললিস্টে র্যাবের অভিযানের আগে, ওই সময় এবং পরে যাদের সাথে কথা বলেছেন তা সংগ্রহ করেছে একটি সংস্থা। ওই সব ব্যক্তিদের সাথে সাহেদের কথোপকথন এরই মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। সাহেদ যাদের সাথে কথা বলেছেন তাদের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। মানবাধিকার কর্মী এলিনা খান সাহেদকে ধরা যাচ্ছে না এটা বিশ্বাস করতে পারছেন না।
যেকোনো সময় গ্রেফতার
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেফতার করতে একাধিক টিম কাজ করছে। যেকোনো সময় তিনি গ্রেফতার হবেন। গতকাল বিকেলে র্যাবের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আসিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাহেদকে ধরতে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে র্যাবের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় র্যাবের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাবার জানাজায় সাহেদ উপস্থিত হতে পারে এমন সম্ভাবনা থেকে সেখানে কোন নজরদারি বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে র্যাবের তিনি বলেন, সে আসবে কিনা জানি না। তবে গোয়েন্দা নজরদারি সেখানে আছে। সেই সঙ্গে জনগণ যদি এই ঘটনায় সম্পৃক্ত হয় তাহলে তাকে পাওয়া যাবে।
সাহেদের সহযোগী তারেক রিমান্ডে
সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী। শুনানি শেষে বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাহেদের অপরাধের বিচার চান স্ত্রীও
রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ অপরাধ করলে বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তার স্ত্রী সাদিয়া আরবি রিম্মি। র্যাবের অভিযানের পর ৭ জুলাই দুপুরে সর্বশেষ মোবাইল ফোনে সাহেদের সঙ্গে কথা হয় তার। সাহেদ নিরাপদে আছে বলে তাকে জানিয়েছেন। এরপর থেকে সাহেদের মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাচ্ছেন স্ত্রী রিম্মি। তিনি জানান, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর ওল্ড ডিওএইচএস ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন সাহেদ। রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর তিনি আর বাসায় যাননি বলে জানিয়েছেন স্ত্রী রিম্মি। তবে দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতেই রয়েছেন সাহেদের স্ত্রী। রিম্মি বলেন, সাহেদ অপরাধ করলে তার বিচার হওয়া উচিত। সবাই যেমন তার বিচার চাচ্ছে, আমিও তার বিচার চাই। এত স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে তারা কীভাবে এটা করলো! এটা সত্যিই যদি ঘটে থাকে, তাহলে তার বিচার হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের আর কিছু বলার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।