পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি সরবরাহে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন লেক্সিকন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনো ট্রেড লিমিটেডের মালিক মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে সাড়া না দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি এ বক্তব্য পাঠিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সপরিবারে বসবাস করছেন বলেও জানান।
মাস্ক কেলেঙ্কারি অনুসন্ধানে গতকাল ‘মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেড’র পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই দিন মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। হুমায়ুন কবির হাজির হলেও মিঠুর পক্ষে লিখিত বক্তব্য নিয়ে দুদকে আসেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুহাসিন মো. সালাহউদ্দিন কাওসার। তবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় না আসায় এ বক্তব্য দুদক টিম গ্রহণ করেনি বলে জানান পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব ভট্টাচার্য।
লিখিত বক্তব্যে লেক্সিকন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনো ট্রেড লিমিটেডের মালিক দাবি করেন, আমি পরিবারসহ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চলে আসি। গত ৫ বছরে গড়ে এক মাসও দেশে অবস্থান করিনি। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এবং অসুস্থতাজনিত কারণে আমি হাঁটা-চলায় অপারগ। এজন্য আমার পক্ষে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেয়া সম্ভব নয়। তাই নিযুক্ত আইনজীবীর সৈয়দ মুহাসিন মো. সালাউদ্দিন কাওসারের মাধ্যমে আমার বক্তব্য দিচ্ছি। পরবর্তী সময়ে কোনো যোগাযোগের আবশ্যকতা দেখা দিলে আমার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মিঠু দাবি করেন, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কোনো দিনই আমদানি অথবা সরবরাহ করেনি। যদি কেউ দাবি করে থাকে তার বিপরীতে কার্যাদেশ, চুক্তি অথবা অন্যান্য প্রমাণ দাবি করছি। তাই প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি। দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করা ও মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ‘মিঠু সিন্ডিকেট’ নামে একটি কাল্পনিক জুজু তৈরি করা হয়েছে। এতে কোভিডকালীন যারা নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে বেশি মুনাফা করেছেন তারা বেঁচে যাচ্ছে। আর দেশের মানুষকে বোঝানো হচ্ছে সব মিঠু সিন্ডিকেটের কাজ। এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাঁড়ে চাপানোর প্রচেষ্টা। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে কোনো কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছে, যার বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। দুদক সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটন করলে দেশবাসী প্রকৃত সত্য সম্পর্কে জানবে।
এদিকে দুদক সূত্র জানায়, মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক টিম। কিন্তু তার কাছ থেকে কি কি জানতে চাওয়া হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি ওই টিম। সংস্থাটির পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে টিমে ছিলেন উপ-পরিচালক নূরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান এবং আতাউর রহমান। অভিযোগের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় গত বুধবার মেসার্স জেএমআই হাসপাতাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমেটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মতিউর রহমানকে একই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।