পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহামারি করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম।
গত কয়েক দিন দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১৮শ’ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণ কিনে মজুত করছেন। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
এর আগে ২০১১ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮ শ ডলারের ওপরে উঠে ছিল। এরপর গত প্রায় ৯ বছর পর এবারই প্রথম প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮শ’ ডলার ছাড়িয়ে গেল।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বুধবার লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮১৯ ডলারে উঠে যায়। যদিও দিনের লেনদেন শেষে তা ১৮০৯ ডালারে স্থির হয়।
বুধবার স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হলেও বৃহস্পতিবার লেনদেনের প্রথমদিকে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দশমিক ৪৫ ডলার কমে ১৮০৮ দশমিক ৫৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
করোনার প্রভাবে চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করে। গত বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৪৫৪ ডলার। এরপর করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬০ ডলারে উঠে যায়।
তবে মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। এক ধাক্কায় দাম কমে প্রতি আউন্স ১৪৬৯ ডলারে নেমে আসে। মার্চে দরপতন হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি।
হু হু করে দাম বেড়ে মে মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১৭৪৮ ডলারে উঠে যায়। এরপর ছোট খাটো উত্থান-পতন হলেও এখন টানা বাড়ছে স্বর্ণেল দাম। ৩০ জুন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১৭৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই স্বর্ণের দাম বাড়ে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে প্রায় ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ জুন বাংলাদেশে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সাধারণত ভরিতে এক-দেড় হাজার টাকা করে বাড়ানো হলেও এবার এক লাফে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়ানো হয়। অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ২০ ডলারের উপরে বেড়েছে।
গত ২৩ জুন থেকে দেশের বাজারে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৬১৬ টাকা বাড়িয়ে ৪৭ হাজার ৬৪৭ টাকা করা হয়েছে।
স্বর্ণের এই দাম বাড়ানো সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বরাত দিয়ে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে স্বর্ণের মূল্য সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। এতে দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির টেলি-কনফারেন্সে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৩ জুন থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নতুন করে নির্ধারণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।