পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মো. মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার সংস্থার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এছাড়া জেএমআই হাসপাতাল রিকুইজিট মেনুফ্যাকচারিং লি:-এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। করোনা মহামারিতে সরকারের মাস্ক ও পিপিই কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তবে একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও ‘এলান করপোরেশন লি:’ ও চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন দুদকে হাজির হননি। ‘অসুস্থতা’র কথা বলে তিনি সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য। তবে আমিনুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত কি না নিশ্চিত করতে পারেননি দুদকের এই কর্মকর্তা।
দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয় করেছেন তারা। এসব মাস্ক-পিপিই বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বিপরীতে ব্যক্তিগতভাবে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।
করোনাকালীন বৃহৎ এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা। গত ১০ জুন এক জরুরি বৈঠকে তাদের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু অভিযোগ দুদকের হটলাইন ১০৬-এ আসে।
অভিযোগ রয়েছে, সিএমএসডির ৯শ’ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ জুন পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে বিশেষ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। উপ-পরিচালক নূরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান টিমের অপর তিন সদস্য।
অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় টিমটি গত ১ জুলাই দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলবি নোটিস দেয়া হয়। এর মধ্যে মো. আব্দুর রাজ্জাক, মতিউর ও আমিনুল ইসলামকে ৮ জুলাই এবং হুমায়ুন ও মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে ৯ জুলাই নথিপত্রসহ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। নোটিস অনুযায়ী তারা হাজির না হলে অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই- মর্মে ধরে নেবে কমিশন।
এদিকে মাস্ক-পিপিই দুর্নীতিতে সরকারি কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। গতকাল বুধবার সেগুনবাগিচাস্থ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাস্ক-পিপিই দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যাদের নাম আসবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাস্ক দুর্নীতিতে সরকারি কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে গতকালের জিজ্ঞাসাবাদে তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী মো. মতিউর রহমান এবং জেএমআই হাসপাতাল রিকুইজিট মেনুফ্যাকচারিং লি:-এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে দুদক টিম কি তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে- এ বিষয়ে কিছু জানাননি দুদক সচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।