পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে কর্মহীন প্রবাসী কর্মীদের খালি হাতে দেশে ফেরা অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশের কোম্পানিতে কাজ না থাকায় দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। করোনার কারণে প্রবাসী কর্মীদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যাচ্ছে। চড়া সুদে ঋণ ও ভিটেমাটি বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে অধিকাংশ কর্মীই অভিবাসন ব্যয়ের টাকাও তুলতে পারেন নি।
এদিকে, নতুন ভিসা প্রাপ্ত কর্মী ও বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটিতে আসা প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি কর্মীর বিদেশে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আটকে পড়া এসব কর্মীরা পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। তাদের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে এযাবত প্রায় ২২ হাজার কর্মী দেশে ফিরেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে করোনা পরবর্তী সময়ে পুনরায় কর্মে নিয়োগ পেতে পারেন সেজন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ক‚টনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে সরকার। তিনি বলেন, প্রত্যাগত কর্মীদের স্বল্প সুদে সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে দু’ধাপে সাতশ’ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েত থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, কুয়েতে করোনার কারণে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি কর্মী চরম হতাশায় ভুগছেন। দেশটিতে প্রায় বিশ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছে। দেশটির সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় কয়েক হাজার কর্মী বিনা জরিমানায় কুয়েত সরকারের খরচে দেশে ফিরতে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে চারটি অস্থায়ী ক্যাম্পে অপেক্ষা করছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২৭০ জন কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। একই রাতে সিঙ্গাপুর থেকে চাকরি হারিয়ে ৬০ জন কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন।
প্রত্যাগত এসব কর্মী জানান, দেশটিতে ভালো বেতনেই কাজ করছিলেন। করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে তাদের বাধ্য হয়েই দেশে ফিরতে হলো। গতকাল দুপুরে কাতারের দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কর্মহীন ২০০ প্রবাসী কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছে। দুপুরে দুবাই থেকে ১২০ জন কর্মী এবং বিকেল ৪টায় অপর ফ্লাইটে দুবাই থেকে আরো ১৩০ জন কর্মহীন কর্মী খালি হাতে ঢাকায় পৌঁছেছে। কয়েকজন কর্মী জানায়, দেশটির কোম্পানিতে কাজ না থাকায় অনেক বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। আটাবের সাবেক মহাসচিব আসলাম খান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, করোনা মহামারিতে চাকরি হারিয়ে প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরা অব্যাহত থাকলে শ্রমবাজারে বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখছে। করোনা পরবর্তী নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধানের কার্যক্রম এখন থেকেই শুরু করতে হবে। করোনা মহামারিতে প্রতিদিন ট্রাভেল ও ট্যুরিজম খাতে একশত কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ সেক্টরকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার ওপরগুরুত্বারোপ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।