পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট জেটির অদূরে নোঙ্গর ছিঁড়ে গতকাল বুধবার ভোরে একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। স্টিল স্ক্র্যাপ বহনকারী জাহাজটি আরও কয়েকটি জাহাজকে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়। তবে নিরাপদে জাহাজ থেকে নেমে যেতে সক্ষম হয়েছেন নাবিকেরা। দুর্ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জাহাজটি দ্রুত উদ্ধার করে সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টকে গতকালই চিঠি দেয়া হয়েছে।
আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটিতে ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানের লোহার রড তৈরির কাঁচামাল ছিল। কর্ণফুলী নদীতে সদরঘাট এলাকায় জাহাজটি ডুবে গেছে বলে জানিয়েছেন আবুল খায়ের গ্রুপের লিটমন্ড শিপিং লাইনসের অপারেশন ইনচার্জ মো. জাহিদ হোসেন। এমভি বোর্নিও প্রিন্স-টু নামের জাহাজটিতে ২ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন স্টিল স্ক্র্যাপ ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রচন্ড বাতাস ও জোয়ারে লাইটারেজ জাহাজটি বর্হিনোঙ্গর থেকে স্টিল স্ক্র্যাপ নিয়ে কর্ণফুলীর সদরঘাট এলাকায় জেটিতে খালাসের জন্য আসছিল। জাহাজটি এক নম্বর জেটি এলাকায় আসার পর জোয়ার ও প্রচন্ড বাতাসে এর নোঙ্গর ছিঁড়ে যায়। তখন সেটি জোয়ারের তোড়ে একটি বয়ার সঙ্গে ধাক্কা খায়। জাহাজটির তলা ফেটে গিয়ে সেটি পুরোপুরি ডুবে গেছে। জাহাজের ১৪ জন ক্রু নিরাপদে আছেন বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নোঙ্গর ছিঁড়ে জাহাজটি বয়াতে আঘাতের সময় একই বয়াতে বাঁধা আরও কয়েকটি লাইটারেজ জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেগুলো নিরাপদ রয়েছে। কোস্টগার্ডের জাহাজ এবং ছোট নৌকার মাধ্যমে দুর্ঘটনাকবলিত লাইটারেজ জাহাজ এবং বয়া থেকে বিচ্ছিন্ন জাহাজগুলোতে থাকা নাবিক ও শ্রমিকদের নিরাপদে জেটিতে ফেরত আনা হয়েছে।
বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্য নেই। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার স্থান চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। আশপাশ দিয়ে চলাচলরত এবং অবস্থানরত লাইটারেজ জাহাজ ও ফিশিং ট্রলারগুলোকে নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি দ্রæত সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।