পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ড্রেনেজ ও রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮ নং ওয়ার্ড বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিসহ হয়েছে। কয়েকটি রাস্তা ছাড়া বেশিরভাগ রাস্তাই ভাঙ্গা। স্বাভাবিক দিনগুলোতে ড্রেনের পানি রাস্তায় উপচে পড়ে আর বৃষ্টি হলে পুরো রাস্তা তলিয়ে যায়। পানি যাওয়ার জন্য অনেক স্থানের ড্রেনের ঢাকনা বা স্লাব উঠানো, ফলে অসাবধানতা বা রাস্তার গর্ত না বুঝার কারণে ম্যানহোলের ভিতরে অনেক রিকশা, অটো, মটর সাইকেল পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।
গত বছর ডিএনসিসিতে বর্ধিত ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হয় এই ওয়ার্ড। নতুন ওয়ার্ড হলেও ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন অবস্থার সাথে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হবার মাঝে এলাকার কোন উন্নয়নের কোন তফাত নেই। উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে, বরং দিনে দিনে অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। সল্প সময়ে দুই জন কাউন্সিলরের দায়িত্ব পেয়েছেন কিন্তু কিছুই হয়নি। গতবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান বুলবুল। একবছর দায়িত্ব পালনের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে দাড়াননি তিনি। কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী হন দক্ষিণখান থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আলী। এই ওয়ার্ডটি পুরো দক্ষিণখানের প্রাণ কেন্দ্র হলেও বাসিন্দাদের জীবন যাপন দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে।
ওয়ার্ডের নগরবাড়ি এলাকার রাস্তা সব সময় ড্রেনের ময়লা পানি দিয়ে ডুবন্ত থাকে যা দেখার কেউ নেই বললেই চলে। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে মাঝে মধ্যে ড্রেন পরিষ্কার করলেও ঠিক মতো ময়লা পানি যায় না, আটকে থেকে রাস্তা ডুবে থাকে। ভোগান্তির কারণে এই এলাকার ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র স্থানান্তর হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া মোল্লাবাড়ি, গার্লস স্কুল রোড, মধুবাগ, আইনুছ বাগ, বিদুরবাড়ি, হলান, নদ্দাপাড়ার রাস্তা ভাঙ্গা ও খারাপ। একটু বেশি বৃষ্টিপাত হলে দক্ষিণখান বাজারের রাস্তাও ডুবে যায়। পরিকল্পনাবিহীন ড্রেনেজের কারণে ওয়ার্ডের বেহাল দশা। অতীতে বিভিন্ন খালি ও নিচু জমিতে ড্রেনেজের পানি ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব জায়গার মালিকরা বাড়ি করার ফলে ড্রেনের পানি নামার কোন ব্যবস্থা থাকছে না। টয়লেটের ময়লা পানি রাস্তায় উপচে পড়ে বেহাল হয়ে যাচ্ছে ওয়ার্ড বাসিন্দাদের জীবন।
৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর ইনকিলাবকে বলেন, ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মকার্ন্ডের জন্য কোন বাজেট এখন পর্যন্ত পাইনি, কোন উন্নয়ন প্রজেক্টও নেয়া হয়নি। মশক নিধন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করে সচল রাখার চেষ্টা করছি।
এই ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান বুলবুল ইনকিলাবকে বলেন, গত বছর বাজেটে এক কোটি ষাট লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু সেই উন্নয়ন প্রজেক্ট একনেকে পাশ না হওয়ায় কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হয়নি। ড্রেনেজ পরিষ্কার, ম্যানহোলের স্লাব ও রাস্তা মেরামতের জন্য ২৫ লাখ টাকা পেয়েছিলাম তা দিয়ে মোটামুটি চালিয়ে নিয়েছিলাম।
তিনি এ বছরের মে মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। আর বর্তমান কাউন্সিলর এর পরের দুই মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। সিটি করপোরেশনের বাজেট হয় জুন থেকে জুন। সে হিসেবে আগামী বাজেটে নতুন বরাদ্দ না পেলে ওয়ার্ডের কোন উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়া সম্ভব না। ফলে সামনের বর্ষায় দুর্ভোগের শিকার হবেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এমনটাই উদ্বেগ সবার মাঝে।
দক্ষিণ খান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মিঠু ইনকিলাবকে বলেন, বড় প্রজেক্ট নিয়ে দক্ষিণখানের ৩টি ওয়ার্ডের ড্রেনেজের লাইন যদি বালু নদীতে সংযোগ দেয়া না হয় তাহলে কোন ভাবেই ড্রেনেজ সমস্যার সমাধান হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।