পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারিতে বিদেশের কোম্পানীতে কাজ নেই তাই বাধ্য হয়েই প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফিরতে হচ্ছে। আরো বহু প্রবাসী কর্মী কাজ না থাকায় দেশে ফেরার জন্য প্রহর গুনছে। কাতার থেকে সোমবার গভীর রাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একাধিক প্রত্যাগত কর্মী এসব কথা বলেন। প্রত্যাগতদের অনেকেই চড়া সুদে ঋণ করে এবং ভিটেমাটি বিক্রি করে বিদেশে গেলেও এখনো ব্যয়ের টাকাও তুলতে পারেনি। করোনা মহামারি এসব প্রবাসী পরিবারের সোনালী স্বপ্নকে চুরমার করে দিচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। করোনার মাঝেও আশার আলো ছড়াচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। গত মে মাসে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ (১.৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত এপ্রিল মাসের চেয়ে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার বেশি। গত এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০.৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ১৬.৪২ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছিল। দেশের জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
বায়রার ইসির অন্যতম সদস্য ও অ্যাক্টিভ ম্যানপাওয়ার সার্ভিসেসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী প্রতিদিন বিদেশ থেকে চাকরি হারিয়ে কর্মী ফেরত আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল মঙ্গলবার ইনকিলাবকে বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকাকে উর্ধ্বমুখী রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। জনশক্তি রফতানির খাতকে ধরে রাখতে হলে করোনা মহামারি পরবর্তী কার্যক্রমগুলোর প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করতে হবে। অন্যথায় সেন্ডিং কান্ট্রিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না বাংলাদেশ। করোনার কারণে চাকরি হারানো প্রত্যাগত অসহায় কর্মীরা যাতে পরবর্তীতে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায় সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কল্যাণ ডেস্ক সূত্র জানায়, রাত ২ টা ১০ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইট (কিউ আর-৬৩৮) যোগে চাকরি হারিয়ে ২৯৮ জন কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছে। এছাড়া গতকাল বিকেলে সউদী আরব থেকে বিশেষ ফ্লাইট (এসভি-৩৮০৪) যোগে ২৭৩ জন কর্মী দেশে ফিরেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মীই চাকরি হারিয়ে খালি হাতে দেশে ফিরেছে।
এদিকে বিমানবন্দর সূত্র জানায় মঙ্গলবার রাতে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে দেশটি থেকে বেশ কিছু অবৈধ কর্মী দেশে ফেরার কথা। এছাড়া রাতে সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া ও দুবাই থেকে পৃথক তিনটি ফ্লাইট যোগে চাকরি হারিয়ে প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।