পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : দেশের পোল্ট্রি শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়িত। বিপুল এ কর্মক্ষম মানুষের কর্মসংস্থান ও তাদের উৎপাদনমুখী শ্রম ঘণ্টার কারণে বছর শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১ শতাংশ আসছে পোল্ট্রি খাত থেকে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মোয়াজ্জেমের গবেষণার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে অর্জিত জিডিপির প্রায় এক শতাংশ আসে পোল্ট্রি শিল্প থেকে। গত অর্থবছরে জিডিপির অর্জন ছিল প্রায় ৭ শতাংশ। এ হিসাবে গার্মেন্টসের পর পোল্ট্রি শিল্পই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত। এ খাতে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়িত। তাই এই শিল্পের আরো উন্নয়নে গবেষণায় আলাদা পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন সিপিডির এ গবেষণা পরিচালক। গবেষণায় পোল্ট্রি শিল্পের উৎপাদন ও অবদানের চিত্র উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে মুরগির মাংসের দৈনিক চাহিদা ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এছাড়া দিনে এক কোটি ৫০ লাখ পিস ডিমের চাহিদার বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ পিস উৎপাদন হচ্ছে। মাংস উৎপাদনের জন্য একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চার প্রতি সপ্তাহে চাহিদা ৮৫ লাখ পিস। এখানে উৎপাদনের পরিমাণ ৯৫ লাখ পিস। ভোক্তা একটি ডিম কিনছেন সাত টাকায়, যেখানে উৎপাদন খরচ প্রায় ছয় দশমিক ৫০ টাকা। খামারিরা প্রতিটি ডিম বিক্রি করছে মাত্র পাঁচ দশমিক ৫০ থেকে পাঁচ দশমিক ৭৫ টাকায়। এ শিল্পের বিকাশের চিত্র উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম বলেন, আশির দশকে বাংলাদেশের মুরগির মাংস শিল্প অনেকটাই আমদানি নির্ভর ছিল। তখন এ শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। প্রায় ৩৬ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে এ শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আমদানি নির্ভর খাতটি এখন আত্ম-নির্ভরশীল। বর্তমানে পোল্ট্রি মাংস, ডিম, একদিন বয়সী বাচ্চা এবং ফিডের শতভাগ চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। এখানে যেসব মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত, তার প্রায় ৪০ শতাংশই নারী। গ্রামীণ অর্থনীতিতে, নারীর ক্ষমতায়নে কৃষির পরই সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার ছোট-বড় খামার রয়েছে। এছাড়াও আছে ব্রিডার ফার্ম, হ্যাচারি, মুরগির খাবার তৈরির কারখানা। পোল্ট্রি শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লিংকেজ শিল্প, কাঁচামাল ও ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান। আরও বাড়াতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।