পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার পরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগসহ নানা অনিয়মের কারণে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের দু’টি শাখায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। চিকিৎসার অতিরিক্ত বিল নেয়া ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। গতকাল দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ওই হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখায় এ অভিযান চলে। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে হাসপাতালের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানের সময় র্যাব ম্যাজিস্ট্রেট জানান, করোনার পরীক্ষা ছাড়াই হাসপাতালটি সনদ দিতো এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া চিকিৎসার অতিরিক্ত বিল নেয়া ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাত ৮টায় তিনি জানান, অভিযান শেষ করতে আরো কিছু সময় লাগবে। পরে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম (ছদ্মনাম) করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করাতে চান। তার পরিবারেরও কয়েকজনের একই ধরনের উপসর্গ ছিল। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। গত ২৭ জুন হাসপাতাল থেকে তারিক শিবলি নামে একজন ব্যক্তি সাইফুলদের বাসায় যান নমুনা সংগ্রহ করতে। ছয় জনের নমুনা নিয়ে ফি হিসেবে ২৭ হাজার টাকা বুঝে নেন তিনি। এসময় কোনো কাগজ না দিলেও নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে আসেন তারিক শিবলি। ২৯ জুনই নমুনা পরীক্ষার ফল পান সাইফুল ইসলাম।
ঈড়ারফ.ঃবংঃ০৯@মসধরষ.পড়স ইমেইল ঠিকানা থেকে যায় রিপোর্ট, সেটি ছিল রাজধানীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিউটের (আইপিএইচ) প্যাডে। মেইলে নমুনা সংগ্রহের সাইট হিসেবে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রেফার্ড বাই রিজেন্ট হাসপাতাল লেখা ছিল। নমুনা পরীক্ষায় ছয় জনের মধ্যে দু’জন পজিটিভ ও চার জনের নেগেটিভ আসে। রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ জানালে ৩ জুলাই ফের তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হয়। এবার তাদের নমুনা পরীক্ষার ফল আসে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিনের (নিপসম) ওয়েবসাইটে। তবে এবারের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে চার জন পজিটিভ ও দু’জন নেগেটিভ আসেন। এই চার জনই আবার আগের রিপোর্টে নেগেটিভ ছিলেন! শুধু তাই নয়, নিপসমে এই ছয় জনের নমুনা সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই দেখানো হলেও ওই দিন সাইফুল বা তার পরিবারের কারও কাছ থেকেই কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
আরও একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা রিজেন্ট হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে এলেও এখনো কোনো রিপোর্ট পাননি। তাদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি নেয়া হলেও কোনো রশিদ দেয়া হয়নি। এরকম ভুক্তভোগী আরও অনেকেই আছেন, যারা রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নানা ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রিজেন্ট হাসপাতাল আসলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের নাম করে করোনা পরীক্ষার ভুয়া ফল দিত। অনুসন্ধানেও বেরিয়ে এসেছে, রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করলেও সেগুলো পরীক্ষা না করিয়েই রিপোর্ট ধরিয়ে দিত।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতাল পরিচালনার লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে তাদের। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে করোনা চিকিৎসা দিতে শুরু করে তারা। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা চললেও রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সব বিষয়ে জানার জন্যই র্যাবের অভিযান চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।