বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
করোনাকালে চাকরি হারিয়ে, বেতন কমে যাওয়াসহ নানা কারনেই আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে দেশের মানুষ। এই অবস্থায় সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে- গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল পরিশোধে বিপন্ন জনগণকে বাধ্য করার সরকারি উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এইসব বিল আদায় স্থগিত ঘোষণা এবং কর্মহীন-দরিদ্র মানুষের জন্য বিল মওকুফ করার দাবি জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জোটের সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এর আগে রোববার রাতে জোটের নেতারা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বৈঠকে দেশের প্রত্যেকটি শ্রম ঘন এবং ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চলে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনে এবং পরবর্তিতে সেগুলো সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকানায় পরিচালনার জন্য ২০ দল প্রস্তাব করছে। সমাজের অর্থবান ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি। ২০ দল মনে করে এ ব্যাপারে সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ ও বন্ধু প্রতীম বিভিন্ন রাষ্ট্র সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের মরহুম রাজা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মতো আমাদের দেশের মন্ত্রী-এমপি-জনপ্রতিনিধি-জননেতা-উধর্বতন আমলারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হতো। বৈঠকে করোনা পরীক্ষার ফি বাতিলের দাবি এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট নিয়ে ‘অহেতুক সময়ক্ষেপ’, বিদেশ থেকে নিম্নমানের কিট,মাস্ক, পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রির দুর্নীতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ২০ দল।
সংসদে পাস হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখান করে ২০ দলের সমন্বয়কারী বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিপিডিসহ আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কোনো মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে যে বাজেট প্রণয়ন করা হলো তা দরিদ্র মানুষের কোনো কল্যাণ করবেন না। ধনবান এবং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করবে বলে ২০ দল এই বাজেট প্রত্যাখান করছে। বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পুনর্বাসনের সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে ২০ দল।
রাষ্ট্রায়াত্ব পাট বন্ধের বিষয়ে ২০ দলের অবস্থান তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পাটকল বন্ধ করার ফলে পাটচাষীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন সেই ক্ষতি পূরনে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে ২০ দল। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ২০২০’ নামে নতুন আইনের খসড়া প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে ‘অসময়োপযোগী’, ‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং ‘উদ্দেশ্যমূলক’ হিসেবে অভিহিত করে এই উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছে জোট।
২০ দলীয় জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে ২২টি দলের মধ্যে ১৯টি দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। এরা হলেন, বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যের এম এ রকীব, জমিয়তে উলামা ইসলামীর আল্লামা নূর হোসেনেই কাশেমী, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীব নেওয়াজ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, এনডিপির আবু মো. তাহের, জাগপার খোন্দকার লুৎফুর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম ও বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।