Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় তীব্র ভাঙ্গনের মুখে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ বড়মাছুয়া বেরীবাঁধ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ৪:২৩ পিএম

চলতি বর্ষা মৌসুমে বলেশ্বর নদের তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া বেড়িবাঁধ, বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট, স্টীমারঘাট, বাজার ও বসত বাড়ি। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আস্ফানের জলোচ্ছাসে ব্যপক ক্ষতির পর চলতি বর্ষা মৌসুমে এ ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
ভূক্তভোগি এলাকাবাসি জানান, পরাপর কয়েকবার ঘাূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট বাজার এলাকা দোকানপাট ও বসতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত দেড়যুগ ধরে অব্যহত এ ভাঙ্গনে বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট দুইশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার বসত বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্টিমারঘাট যাত্রী বিশ্রামাগার ভবন, পাকা মসজিদ, দোকানপাট বিলীন হওয়ায় স্টিমারঘাট ও বাজারের এখন বিপন্ন দশা।
স্থানীয়রা জানান, আস্ফান পরবর্তী সম্প্রতি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফাারুক পরিদর্শনে এসে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য প্রাথমিক ভাবে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু না করায় বড়মাছুয়ার লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট সম্পূর্ণ বিলীনের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী এলকার কয়েক গ্রামের মানুষ চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
বড়মাছুয়া লঞ্চঘাটের মৎস্য আড়তদার ফারুক তালুকদার জানান, টানা ২৫ বছর ধরে বড়মাছুয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় ভাঙ্গন চললেও আজ অবদি ভাঙ্গন রোধে কার্যকার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভাঙ্গনে লঞ্চঘাট যাত্রী ছাউনি ও দুই শতাধিক দোকানপাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখানে দ্রুত বেরিবাধ ও ব্লক নির্মাণ অতি জরুরী।
বড়মাছুয়া ইউপির সদস্য ছলেমান জানান, ইতিমধ্যে মোহনার ৩০/৪০ টি বসত ঘর, বাজারের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি পাকা মসজিদসহ যাত্রী ছাওনি বিলীন হয়ে গেছে। দীর্ঘদিনেও ভাঙ্গনরোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এর তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
এ বিষয় বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাছির হোসেন হাওলাদার জানান, বলেশ্বর নদের ভাঙনে বড়মাছয়া লঞ্চঘাট ও স্টিমার ঘাট এলাকা এখন বিলীনের পথে। ভাঙনে বেরিবাঁধ এখন হুমকীর সম্মূখীন। ইতিমধ্যে জমি বসতি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনে বিপন্ন লঞ্চঘাট ও স্টিমারঘাট ভাঙন রোধের দাবিতে এলাবাসি মানববন্ধন করে কোনও ফল পাচ্ছেনা। বড়মাছুয়া বেরিবাঁধের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় নদীতীরে ব্লক নির্মাণ জরুরী।
এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বালী বলেন, ভাঙন কবলিত বলেশ্বরের বড়মাছুয়া মোহনা সরেজমিনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি পরিদর্শন করেছেন। ওই স্থানে ভাঙন রোধে ব্লক নির্মাণ করাও জরুরী। বলেশ্বরের ভাঙনরোধে অন্তত ৮.২ কিলোমিটার অংশে বাঁধ ও ব্লক নির্মাণের বিষয়ে একটি সার্ভে প্রতিবেদন প্রস্তুতির কাজ চলছে। প্রকল্প অনুমোদন পরবর্তী নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ