Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

‘করোনায় মানসিক কষ্টে শিশু-কিশোররা’

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের অনলাইন আলাপচারিতা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনার কারণে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। তারপর পিতা-মাতার আয় কমে যাওয়ায় সংসারে অশান্তি। এসব কারণে দেশের শিশু কিশোররা মানসিক চাপে পড়েছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন অনলাইন আলাপচারিতায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

আলাপচারিতায় অংশ নিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শিশু-কিশোরদের মানসিক চাপ বেশি। কারণ বাবা-মায়ের মানসিক চাপ তাদের ভেতরে সংক্রমিত হচ্ছে। গতকালের আলাপচারিতায় আরও অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড সাইকোথেরাপি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার ও জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির মেন্টাল হেলথ বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ডা. এম তাসদিক হাসান। সঞ্চালনা করেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দার।
ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মনে রাখতে হবে কোভিড-১৯ মোটেই হানড্রেড মিটার রেস না, এটা ম্যারথন। আমি নিজে সরাসরি আইসিইউতে গিয়ে কথা বলেছি, চিকিৎসকদের মনোবলে ঘাটতি নেই। তবে প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে মানসিক কষ্ট তৈরি হয়েছে। সেই জায়গায় যেন প্রশাসন সচেতন হয়। পলিসি লেভেল থেকে মাইন্ড সেট চেঞ্জ করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে এখনই সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড চালু করতে হবে। আমরা এখন স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মধ্যে আছি, ছয় মাস পার হয়ে গেলে ওপাস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মধ্যে অনেকে চলে আসবে। এখন থেকেই ফার্স্ট এইড চালু করতে পারলে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার কমানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশুদের জীবনযাপনে বড় ছন্দপতন হয়েছে। তারা বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। যারা একটু বড়, আবেগ কাজ করে, তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। সেই কারণে তাদের হতাশা-উদ্বিগ্নতা বাড়তে পারে।
ডা. এম তাসদিক বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে নারী চিকিৎসকদের স্ট্রেস অনেক বেশি। এটার পেছনে সোশ্যাল, ইকোনমিক্যাল ও পলিটিক্যাল ফ্যাক্টর আছে। তাদের সামজিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যারা মানসিক সমস্যায় আছেন, তারা যদি হাসপাতালে যেতে না পারেন তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে? সব ধরনের ডিসঅ্যাবিলিটি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ