Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রসূতির অস্ত্রোপচারে করোনা আক্রান্ত ডাক্তার

ঝুঁকিতে মা ও শিশু

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টর | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়ায় একজন চিকিৎসক কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পরেও গত বৃহস্পতিবার সারাদিন বিভিন্ন ক্লিনিকে ৮টি প্রসূতি মায়েদের অস্ত্রোপাচার করেন বলে জানা যায়। এতে ওই সব মা ও নবজাতকের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সফর আলী নামের ওই চিকিৎসক গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (গাইনী বিভাগ)। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়।

এই ব্যাপারে চিকিৎসকের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পরপরই অস্ত্রোপচার কক্ষ ছেড়ে বাড়ি চলে আসি। তবে কোনো কোভিড উপসর্গ ছিল না। অস্ত্রোপচার করা রোগীরা ভালো আছেন তাদের কোনো অসুবিধা নেই।’
সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা যায়, চিকিৎসক সফর আলী গত বুধবার দৌলতপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন রাতেই তার ফলাফল পজিটিভ আসে ও সাথে সাথে তাকে মোবাইল ফোন এ বিষয়ে অবহিত করা হয়।

বিভিন্ন ক্লিনিকের সূত্রে জানা যায়, নমুনা দেয়ার পরদিন গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্লিনিকে অন্তত ৮টি প্রসূতি মায়ের অস্ত্রোপচার করেন। দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ৩টি ক্লিনিকসহ ঝাঊদিয়া বাজার ও আল্লাহরদর্গা বাজার এলাকার ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করেন।
দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ‘মায়ের হাসি’ ক্লিনিকের মালিক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ও রাত ৯টায় এ ক্লিনিকে তিনি দু’জন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন। সে সব মা ও নবজাতকেরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর তার অস্ত্রোপচারে আসা ঠিক হয়নি।’
অভিযোগে আরো জানা যায়, তিনি গোপালগঞ্জে কর্মরত থাকলেও তিনি প্রায় দৌলতপুরে থাকেন। দৌলতপুরে বিভিন্ন ক্লিনিকের সাথে তিনি চুক্তিবদ্ধ।

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন বলেন ‘এ কলেজে নির্দিষ্ট কয়েক দিন দায়িত্ব পালনের পরে চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সেটা হোটেল বা বাসায় হয়ে থাকে। ডা. সফর আলী বাসায় গিয়ে থাকলেও তার কোয়ারেন্টিন অমান্য করে ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করা ঠিক হয়নি। এটা তিনি করতে পারেন না৷’

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ‘ওই সব মা ও শিশু এবং ক্লিনিকগুলোর নার্স-স্টাফরা তীব্র আতঙ্কে ও ঝুঁকিতে রয়েছেন।’ কারা-এর দায়ভার গ্রহণ করবে বলে জানতে চাইলে, সিভিল সার্জন বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী মা ও পরিবারের সদস্যগণ ডাক্তারের শাস্তি দাবি করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ