পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংক্রমণ হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতালির লাৎজিও অঞ্চলে বাংলাদেশিদের গণহারে করোনাভাইরাস পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ইতালি ফিরে যাওয়া অন্তত ১০ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্লাস্টার ট্রান্সমিশনের বা গুচ্ছ সংক্রমণের আশঙ্কা করছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিদের করোনা পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। লাৎজিও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান আলেসিও ডি’ আমাতো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য আগামী সোমবার থেকে আলাদা একটি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে।’ তবে এ পরীক্ষা স্বেচ্ছায় নমুনা প্রদানের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইতালির পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ৩৭ হাজারই লাৎজিও অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের মধ্যে ৩২ হাজারেরই বসবাস রাজধানী রোমে।
লাৎজিও অঞ্চলে গত ফেব্রুয়ারিতে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলেও তার হার খুব বেশি ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু গুচ্ছ সংক্রমণ কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাৎজিও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যারা ইতালিতে ফিরবে তাদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমরা বিমানবন্দর ও স্বাস্থ্য বিভাগকে কড়াকড়ি আরোপ করতে বলেছি।’ রয়টার্সের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে, ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস গত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ৭ বাংলাদেশির নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে জানিয়েছে, ওই সেবাপ্রার্থীরা গত ২২ জুন দূতাবাসে এসেছিলেন। কিন্তু তারা যে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন তার মাধ্যমে ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ওই ৭ বাংলাদেশিকে ঘর থেকে কোনোক্রমেই বের না হতে এবং ঘরেও সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর দিকে ইতালি ফেরত এক দল বাংলাদেশি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাগিবতন্ডায় জড়ায়। জানা গেছে, করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়া ব্যক্তিদের প্রায় ৮ শ’ ৫০ জন গত জুন মাসে ইতালি ফিরে গেছে। তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের পাশাপাশি ইতালিরও নাগরিক বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের করোনা ধরা পড়ে। এ ছাড়া তাদের অনেকেই ইতালিতে ফিরেও স্বাস্থ্যবিধি মানেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ইতালি ফিরে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।