বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
করোনাভাইরাস সংক্রামণের ব্যাপকতার পরিপ্রেক্ষিতে যশোর-৪ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। রোববার সন্ধ্যায় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই তফসিল একেবারেই সময়োপযোগী হয় নাই। দেশের এই চরম দুঃসময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রামণে যখন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতিদিন যখন মানুষ মারা যাচ্ছে, যখন আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে সারা দেশে। যেখানে সরকার থেকেও সোশ্যাল ডিসটেনসিং এবং সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে সেই সময়ে ভোটগ্রহণটা একেবারেই কোনো মতে গ্রহণযোগ্য নয়। করোনার এই সময়ে এই ধরণের ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রাজনীতির উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে আমরা মনে করি। এই কারণে এই উপনির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এর আগে সব নির্বাচনে অংশগ্রণ করেছি। বর্তমান প্রেক্ষিতে আমাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়।
বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিজ নিজ বাসা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন।
যশোর-৪ ও বগুড়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৪ জুলাই ভোট গ্রহণ হবে। গত ১৮ জানুয়ারি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন ফাঁকা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুইটি আসনের উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। করোনাভাইরাস সংকটের কারণে ভোটের সপ্তাহখানেক আগে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।