পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে চান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তার নির্দেশনা অনুযায়ী বছরব্যাপী মশকনিধন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিশেষ কয়েকটি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ৬-১৫ জুন প্রথম পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শেষে গতকাল থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র এবার চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। যেসব ক্ষেত্রে ভবন বা স্থাপনার মালিক পাওয়া যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা করা হবে। এছাড়াও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে শীঘ্রই সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনা বা আইভিএম অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে যার মাধ্যমে সারাবছরের মশক নিধন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। এছাড়াও আগামী ৭ জুলাই থেকে গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে সংক্রামক বর্জ্য পাওয়া গেলে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বিবেচনায় সেখানেও জরিমানা করা হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি বর্জ্য পৃথকীকরণের দীর্ঘমেয়াদি যে পরিকল্পনা সেটি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রথম দিনে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এদিন মোট ১২ হাজার ৬১৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৯১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৭৬৪ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ১২টি মামলায় মোট ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে এবারও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিরুনি অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৬ জন চিকিৎসক, ৯ জন কীটতত্ত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ত্ববিদ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে গতবারের মতো এবারও এডিসের লার্ভা প্রাপ্তির স্থানসমূহ এবং প্রজনন উপযোগী পরিবেশসমূহের তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী (৬-১৫ জুন) চিরুনি অভিযানে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৬০১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোট ২১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আজও অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।