পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার মধ্যেও পণ্য পরিবহন করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল তিন মাসে আয় করেছে ১৫ কোটি টাকা। সাধারণ ছুটির শুরু থেকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও রেলের পণ্য পরিবহন সেবা চালু রয়েছে। কনটেইনার ট্রেন, গুডস ট্রেন ও জ্বালানিবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি ল্যাগেজ ভ্যানের বিশেষ ট্রেনও পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত মার্চ থেকে মে এই তিন মাসে পণ্য পরিবহন করে রেল আয় করেছে ১৪ কোটি ৮৪ হাজার টাকা। এ প্রসঙ্গে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী ইনকিলাবকে বলেন, করোনার মধ্যে সীমিত আকারে অর্থনীতিকে সচল রাখার উদ্যোগে নেয় সরকার। আমরাও সরকারের সেই উদ্যোগে সাড়া দিয়েই কন্টেইনার ট্রেন বা গুডস ট্রেন পরিচালনা করি। কতো টাকা আয় হবে বা হচ্ছে সেরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সরকারের উদ্যোগে ভূমিকা রাখা। তবে যা হয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। আগামীতে এ আয় আরও বাড়বে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলেও স্পেশাল লাগেজ ট্রেন ও ম্যাঙ্গো ট্রেন চালু রয়েছে। সেগুলোতেও ভাল সাড়া মিলেছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের আয়ের হিসাব পাওয়া যায়নি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত তিন মাসে রেলওয়ে পণ্য পরিবহন করে ১২ হাজার ৪৫১টি ওয়াগন। এর মধ্যে পণ্য পরিবহন করা হয় এক লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন, যার পরিবহন বাবদ রেলওয়ে আয় করে ১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মার্চ মাসে আয় হয় সাত কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ওয়াগন পরিবহন হয় ছয় হাজার ৩৬৫টি, যার মধ্যে পণ্যবোঝাই হয়েছে ৮২ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন।
এপ্রিল মাসে পণ্য পরিবহন আরও কমে যায়। এ সময় ওয়াগন ব্যবহার করা হয় দ্ইু হাজার ৫১৫টি। তার মধ্যে পণ্য পরিবহন হয় ৩৬ হাজার ৫২ মেট্রিক টন, যা পরিবহন করে রেলওয়ের আয় হয় তিন কোটি ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা। সর্বশেষ মে মাসে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল পণ্য পরিবহন করে আয় করে চার কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এ টাকা আয় করতে রেলওয়েকে পণ্য পরিবহন করতে হয় ৪৮ হাজার ৯১৩ মেট্রিক টন, আর এসব পণ্য পরিবহনে ওয়াগন ব্যবহার হয়েছে তিন হাজার ৫৭১টি।
করোনার কারণে সাধারণ ছুটির পর পরই চট্টগ্রাম-ঢাকা ও দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকায় প্রতিদিন একটি করে ট্রেন কৃষিপণ্য পরিবহন শুরু করে। তারপর গুডস ট্রেনের পাশাপাশি লাগেজ ভ্যান ট্রেন চালু করা হয়। তবে কৃষিপণ্যের জন্য পার্সেল ট্রেন চালু করা হলেও পর্যাপ্ত পণ্য পরিবহন করতে না পারায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পার্সেল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে। দেখা যায়, গত ১-৩ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলাচলকৃত পার্সেল ট্রেনটির ছয়টি বগির মধ্যে পাঁচটিই খালি ছিল ওই তিন দিন। তাই ক্ষতির মুখে পড়ায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পার্সেল ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরকারি খাদ্য, কনটেইনার, তেল, এমআরসি, সামরিক পণ্য, পাথর ইত্যাদি পণ্য নিয়ে নিয়মিত চলাচল করেছে মালবাহী ট্রেন।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রতিক‚লতার মধ্যে গুডস ট্রেন চলাচল করছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়ার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে ট্রেনের পণ্য পরিবহনের ওপর প্রভাব পড়ে। এ কারণে পণ্য পরিবহন গত অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। এপ্রিলে পরিবহন কম হয়ে মে মাস থেকে পণ্য পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করছি করোনার প্রভাব কমলে পণ্য পরিবহনের অবস্থাও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।