পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা কূটনীতি তথা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে সাবেক কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করে করোনা কূটনীতি গ্রহণের তাগিদ দেন।
এতে আলোচকরা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার সুপারিশ করেন সাবেক কূটনীতিকরা। বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তারা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা।
স¤প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার প্রশংসা করেন তারা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকরা। এছাড়া বক্তারা করোনার টিকা আবিষ্কার হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো যাতে উন্নত বিশ্বের মতো একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এছাড়া ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন সামিটে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন সাবেক ক‚টনীতিকরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন। এসময় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মোবিন চৌধুরী, এ. কে. এম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান অংশগ্রহণ করেন।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব ক‚টনীতিকদের সুপারিশগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ ক‚টনীতিকদের ধন্যবাদ জানানো হয়। এর আগে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।