বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এম এ হক শুক্রবার করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেছেন। সকাল সাড়ে দশটায় সিলেট নর্থ-ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুসফুসের সংক্রমণ, করোনা উপসর্গ ও হৃদরোগে অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এম এ হক-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
এক শোক বার্তায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ ও দলের প্রতি মরহুম এম এ হকের অবদানের কথা সিলেটবাসী ও বিএনপি চিরদিন স্মরণ করবে। তাঁর রাজনৈতিক ও পেশাগত সকল কর্মকা-ের মূলে ছিল নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। তাঁর রাজনীতির মূল উপজীব্য ছিল সমাজসেবা। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও তিনি নীতি ও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুৎ হননি। সৎ রাজনীতিবিদের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত মরহুম এম এ হক ছিলেন বিনয়, সাহস ও শিষ্টাচারের মিলিত রুপ। নিরন্তর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি সিলেট বিভাগে বিএনপিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি ছিলেন একান্তজন। শহীদ জিয়ার গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণ ছিল তাঁর রাজনৈতিক পথপরিক্রমার অন্তর্নিহিত শক্তি। তাঁর জীবন ও রাজনীতি ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি বিএনপি’র অঙ্গীকার বাস্তবায়নে একজন সাহসী সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মরহুম এম এ হক।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকেছেন স্বৈরাচারের উৎপীড়ণ ও শত নির্যাতন সহ্য করেও। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও মহামারীর মধ্যে না ফেরার দেশে চলে তাঁর চলে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। বিএনপি দলের একজন দক্ষ ও যোগ্য নেতাকে হারালো, সিলেটবাসী হারালো তাদের একজন প্রকৃত সুহৃদকে। বিএনপি মহাসচিব তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার মৃত্যুতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গভীর শোক জানিয়েছেন। রিজভী বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, মরহুম এম এ হক ব্যক্তিজীবনে একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে তিনি কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুৎ হননি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণকে বুকে ধারণ করে বিএনপি’র জন্মলগ্ন থেকে দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মরহুম এম এম হককে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অভিভাবক হিসেবে মান্য করতেন। বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে মরহুম এম এ হকের মতো একজন উদার ও সজ্জন নেতার অনুপস্থিতি সিলেট বিএনপি’র জন্য এক বড় ধরণের ক্ষতি। রাজনৈতিক জীবনে মামলা-হামলা ও গ্রেফতারসহ নানা জুলুম সহ্য করেও তিনি কর্তব্যকর্মে ছিলেন অবিচল। মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসা ও জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই সিলেটবাসী তাঁকে আপনজন মনে করতেন। গণতন্ত্র এবং মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকল আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা ছিল সকল নেতাকর্মীর জন্য প্রেরণার উৎস। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মরহুম এম এ হক এর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।