Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ

রাবি’র ১০১ জন শিক্ষকের বিবৃতি

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ জন শিক্ষক।
শিক্ষকদের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে মত প্রকাশের নাগরিক অধিকার ক্রমশ: সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের লাগামহীন ব্যবহার করে সরকার সারাদেশে ভিন্নমতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, সংবাদকর্মী এবং রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে নানারকম হয়রানি, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে যা, বেড়েই চলেছে এবং গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা ও রীতি-নীতির পরিসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। সরকারের সর্বশেষ রোষাণলের শিকার হয়েছেন দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের প্রশংসা ও সমালোচনা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। একটি গণতান্ত্রিক সরকার এই সমালোচনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ক্ষমতা প্রদর্শন করে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় চরম অযোগ্যতা ও ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্যই সরকার সংবাদপত্রের কণ্ঠকে রোধ করতে চায় বলে শিক্ষকগণ মনে করেন।

সরকারকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, গণমাধ্যম ও নাগরিকদের বিরদ্ধে কথায় কথায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার মেনে নেয়া যায় না। বাকশালী কায়দায় সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ নয় বরং অবাধ তথ্য প্রবাহ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার সুযোগ সৃষ্টি করুন। দেশব্যাপী ভিন্নমতালম্বীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের স্বৈরতান্ত্রিক পথ থেকে সরে এসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখুন। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যম ও বাক স্বাধীনতার জন্য মারাত্মক হুমকি। সুতরাং অবিলম্বে এ নিবর্তনমূলক বাতিল এবং দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন, প্রফেসর ড. সি.এম. মোস্তফা, প্রফেসর ড. কেবিএম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. আশরাফ উজ্জামান, প্রফেসর ড. মো. এনামুল হক, প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন, প্রফেসর ড. হাবীবুর রহমান, প্রফেসর ড. এ এন এম জাহাঙ্গীর কবীর, প্রফেসর ড. ফজলুল হক, প্রফেসর ড. ফখরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. গোলাম ছাদিক, প্রফেসর ড. মো. আক্তার আলী, প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ, প্রফেসর ড. দিল আরা হোসেন, প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. আফরীনা মামুন, প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা এছামী, প্রফেসর ড. সৈয়দ সরওয়ার জাহান লিটন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী, প্রফেসর ড. আব্দুল আলিম, প্রফেসর ড. হাসনাত আলী, প্রফেসর ড. আহমেদ ইমতিয়াজ, অধ্যাপক মো. ছাইফুল ইসলাম শামীম, ড. মো. আখতার হোসেন মজুমদার, ড. মোহা. মনিরুল হক, অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Mahfuzul Hoque ২ জুলাই, ২০২০, ৫:৫৭ এএম says : 0
    মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৈনিক ইনকিলাব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ