পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধাদের মৃত্যু যেন ঠেকানোই যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই চিকিৎসক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিক, নার্স কেউ না কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন। গতকালও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজন চিকিৎসক মারা গেছেন। তাদের একজন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. গোলাম সারোয়ার এবং অন্যজন ইমপালস হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহসীন কবীর।
রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে জেলা পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মারা গেছেন। তার নাম আবুল কালাম। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত এই পুলিশ কর্মকর্তা জেলা জজ আদালতে কর্মরত ছিলেন।
নিহত দুই চিকিৎসক সম্পর্কে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিসের (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী জানান, ডা. গোলাম সারোয়ার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। গতকাল ভোর ৪টায় ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডা. মোহসীন কবীর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২২তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনিও রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই দুজন চিকিৎসককে নিয়ে করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত ৫৭ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৮ জন চিকিৎসক।
এদিকে, রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আবুল কালাম নিহত হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবুল কালাম (৩৫) জেলা জজ আদালতে কর্মরত ছিলেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় ২২ জুন এএসআই আবুল কালামের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা ধরা পড়ে। এরপর থেকে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৫ জুন তাকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মারা যান। এএসআই আবুল কালামের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় থাকতেন। তার ছয় বছর এবং ছয় মাসের দুই সন্তান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।