Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী সংকটে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বিপন্ন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২০, ১:২৭ পিএম

সীমাহীন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের সব্র্বৃহত সরকারী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান, শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। ১৯৬৯ সালে বরিশাল সদর হাসপাতাল ও সররকারী শিশু সদন ভবনে ৩৬০ শয্যার এ হাসপাতালটির কার্যক্রম চালু করা হলেও ১৯৭৮ সালে বর্তমান নিজস্ব ভবনে ৫শ শয্যার হাসপাতাল চালু করা হয়। কিন্তু বছর তিনেক আগে ৩৬০ শয্যার জনবল কাঠামোর নিয়েই হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা এক হাজারে উন্নীত করা হলেও জনবল মঞ্জুরী আর বৃদ্ধি করা হয়নি। আর এ জনবল সংকটের মধ্যেই সাম্প্রতিক করেনা সংক্রমনে হাসপাতালটির প্রায় অর্ধশত চিকিৎসক ছাড়াও আরো বিপুল সংখ্যক নার্স ও চিকিৎসা কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরো সংকটাপন্ন।
গত কয়েক বছর ধরে তীব্র জনবল সংকটে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত এ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন মুখ থুবড়ে পরার উপক্রম। হাসপাতালটির পুরনো জনবল কাঠামো অনুযায়ী সোয়া ২শ চিকিৎসক পদের মধ্যে ১২৭টিই শূণ্য। অনেক বিভাগে রেজিষ্ট্রার ও সহকারী রিজিষ্ট্রারের পদগুলো পর্যন্ত শূণ্য। এর বাইরে হাসপাতালাটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকগন পদাধিকার বলে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু মেডিকেল কলেজর ২২টি বিভাগীয় প্রধান পদের বিপরিতে মাত্র একজন পূর্ণঙ্গভাবে দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে তার প্রভাব পড়ছে হাসপাতালেও। চিকিৎসা ব্যবস্থায়ও মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
পুরো হাসপাতালের স্টাফ নার্র্স, টেকনোলজিষ্ট, ব্রাদার, ওয়ার্ড বয় থেকে তৃতীয় ও চত’র্থ শ্রেণীর কর্মী সংকট প্রকট। এরইমধ্যে সম্প্রতি ৫০ শয্যার একটি আলাদা করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে হাসপাতালটিতে। এছাড়া করোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষন দিয়ে আলাদা আইসিইউ চালু করা হলেও জনবল নেই।
দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত এ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানটি যে কোন স্বাস্থ্য সংকটকালীন সময়ে সাধারন মানুষের সেবা করে আসছে। গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন যথেষ্ঠ অবনিত ঘটে, তখন এক হাজার শয্যার হাসপাতালে ৪শ ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে এ হাসপাতাল। বর্তমান করোনা মহামারীতেও ডেঙ্গুর মত দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভোগ রোগীই এ হাসপাতালের স্মরনাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীর অভাবে গোটা হাসপাতালটির কাযর্র্যক্রম চরম বিপর্যয়ের কবলে।
এ ব্যপারে হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জনবল সংকট অত্যন্ত পুরেনা সমস্যা। বিষয়টি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়ে থাকে। সরকার এ হাসপাতালের সব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক বলে জানিয়ে অদুর ভবিষ্যতেই এখানে আরো জনবল নিয়োগ দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ