বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : র্যাবের সাথে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত জহরুল বাহিনীর প্রধান ডাকাত সর্দার নিহত হওয়া ঘটনা নিয়ে র্যাব-১২ পাবনা আজ (শুক্রবার ) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। পাবনা র্যাব ক্যাম্পে সকাল ১০ টার দিকে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানী কমান্ডার মো:আকরামুল হোসেন জানান,
গতকাল রাত আনুমানিক দেড়টার টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানাতে পারে যে, আট/দশজনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার সলিমপুর ইউনিয়নের জনৈক মো: আতিয়ার রহমান এর আম ও লিচু বাগান এলাকায় ডাকাতির পূর্ব প্রস্তুতিকল্পে অবস্থান করছে। এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল এই সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে রাত আনুমানিক ৩টার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এই সময় র্যাব সদস্যরা নিজেদের জানমাল ও আত্ম-রক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। প্রায় ৩০ মিনিট গোলাগুলির এক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পিছু হটে এবং পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় জনগণ সহ র্যাব সদস্যগণ ঐ বাগানের ভেতরে প্রবেশ করলে সেখানে একজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষনিকভাবে র্যাব সদস্যগণ তাকে চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত গুলাগুলির ঘটনায় ০২ জন র্যাব সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল হতে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ০১ টি বিদেশী রিভালবার, ০৩ রাউন্ড গুলি এবং ০৩ টি রামদা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও হাসপাতালে উপস্থিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনের নিকট হতে তার নাম ও ঠিকানা জানা যায়। নিহত ব্যক্তির নাম মো: জহুরুল ইসলাম (৩২), পিতা-মো: বরাত আলী মন্ডল, সাকিন-পঙ্খরোয়া, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ বলে জানা যায়।
পরে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি (জহুরুল) সম্পর্কে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় খোঁজ খবর নিয়ে এবং থানার রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৯ টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো জানা যায় যে, বন্দুক যুদ্ধে নিহত জহুরুল পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ডাকাতি, খুন, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল। সে পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বহারা চরমপন্থি দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিল। এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের এক পর্যায়ে সে বিভিন্ন মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০১২ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাবনা জেল হাজতে ছিল। ২০১৫ সালে জামিনে জেল হাজত থেকে বের হয়ে পুনরায় নিজস্ব ডাকাত ও সর্বহারা দল “জহুরুল বাহিনী” গড়ে তোলে এবং পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও ত্রাস সৃষ্টি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় জহুরুল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এলাকায় একটি বড় ধরণের ডাকাতির পূর্ব প্রস্তুতির জন্য তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত বাগান এলাকায় সমবেত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।