পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের জাতীয় হারে সবচেয়ে বেশি থাকলেও এবার পিছিয়ে রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ দুই মন্ত্রণালয়ে খাতে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়, সময়মতো তা ব্যয় হয় না। পরিকল্পনার অভাবে সারা বছর অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে না পারলেও অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে টাকা খরচের হিড়িক পড়েছে মন্ত্রণালয়গুলোর।
প্রতিবছর ১০ জুন থেকে ১২ জুনের মধ্যে জুন ক্লোজিং শেষ হতো। এবার করোনার কারণে তা বাড়িয়ে ২৯ জুন পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে আগামী ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর। জুন ক্লোজিংকে সামনে রেখে সারাদেশের জেলা উপজেলা অফিস এবং ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া এসব প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। বছর শেষে এসে প্রকল্পের টাকা একবারে তোলা একটা নিয়ম হয়েছে। তাদের মতে, ভোটারদের মন জয় করতে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ আসনের অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ দেয়া হচ্ছে। নতুন নতুন প্রকল্প না নিয়ে বরং পুরনো প্রকল্পগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত। এতে আর্থিক অপচয় কিছুটা হলেও কমবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, অর্থবছর শেষ সময়ে এসে সরকারের প্রকল্প টাকা তোলার হিড়িক পড়ে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। ফলে প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে শেষ হয় না। এ কারণে দুর্নীতি বাড়ছে। এতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আবার প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে যায়। ফলে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত হয় না। মানুষও প্রকল্প থেকে সুফল পায় না। আবার অনেক জেলায় দ্ব›েদ্বর কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ পড়ে আছে বছরের পর বছর।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রত্যেক এমপিকে নিজ নিজ আসনের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সে সময় প্রকল্প ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প ২০১০ সালের মার্চে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের জুনে শেষ হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে গৃহীত প্রকল্পে এমপিদের ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৭৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২০২১ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর আগেই তৃতীয় মেয়াদে এমপিদের আবারো ২০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়। এ খাতে ৯ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত বছর এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অধীনে টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাবিখা ও কাবিটা কর্মসূচির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় টাকা অধিকাংশ জেলায় প্রকল্পের কাজ না করে টাকা লোপাট করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে টিআর কাবিখা, কাবিটা ও বিশেষ বরাদ্দে সোলার স্থাপনের কাজও রয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (বাকিটা) কর্মসূটির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে তৈরি গৃহহীন মানুষের জন্য ১১ হাজার ২৭৩টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।