Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা

নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত-দুর্গতদের দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এক দিনের ব্যবধানে বহু নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উত্তরের পর বন্যার পানি দেশের মধ্যাঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে মানিকগঞ্জ, শিবচর, গোয়ালন্দের নি¤œাঞ্চল ও চরাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি ডুবে গেছে।
কুড়িগ্রামে এ পর্যন্ত ৬ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল ধরলার পানি বিপদসীমায় ১০০ সে.মি ও গোয়ালন্দ ঘাট পয়েন্টে পদ্মা ৬০ সে.মি, শিবচরে ৫০ সে.মি, জামালপুরে যমুনা নদী ১১৬ সে.মি. এবং আরিচা ঘাট পয়েন্টে ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যাদুর্গত এলাকায়, ত্রাণের জন্য হাহাকার পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সরকারি-বেসরকারি তেমন কোনো ত্রাণ তৎপরতা নেই। মানুষ গবাদি পশুপাখির তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। মেলান্দহে বন্যার কারণে ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনে রেল যোগাযোগ হুমকির মুখে পড়েছে।
কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৬ লাখ মানুষ
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : টানা ১১ দিন ধরে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান জানান, মধ্যরাতে বাঘমারা গ্রাম নামক স্থানে রৌমারী শহর রক্ষাবাঁধ ভেঙে গোটা উপজেলা চত্বর, উপজেলা ভূমি অফিস, পোস্ট অফিস, রৌমারী বাজার, রৌমারী ডিগ্রি কলেজ, রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৮টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ফলে কার্যত রৌমারী উপজেলার সকল প্রকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, রাজিবপুর উপজেলা চত্বর, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস, খাদ্যগুদাম, পোস্ট অফিস, রাজিরপুর বাজার, রাজিবপুর ডিগ্রি কলেজেও পানি ঢুকেছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৯ উপজেলার ৬০ ইউনিয়নের প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বন্যার পানির প্রবল ¯্রােতে ভেসে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ী।
গোয়ালন্দে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট এলাকার একটি বাঁধ ভেঙে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দেবগ্রাম ইউনিয়নে গত দুই দিনে বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে উপজেলার সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে।
পদ্মার নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৬০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পায় ৭ সে.মি.। গোয়ালন্দে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিমাপক (গ্রেড রিডার) ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত কয়েকদিন ধরে অত্যধিক হারে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও উজানচর ইউনিয়নের কয়েকটি চর ও নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বহু ফসল ও ফসলি জমি। দুর্গত এলাকার লোকজন বসতভিটা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করলেও অনেকেই পারছেন না। তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উঁচু সড়ক-মহাসড়ক ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চর পাঁচুরিয়া গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আ. খালেকের স্ত্রী সামেলা বেগম (৪৫) জানান, গত দুই দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছি। কেউ খবর নিতে আসেনি। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ম- জানান, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে আমার সম্পূর্ণ ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি।
শিবচরে পানি বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপরে
শিবচর উপজেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর পানি ১০ সে.মি. বেড়ে বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ২টি ইউনিয়নে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করলেও এ সকল এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার চরজানাজাত, বন্দরখোলা, কাঠালবাড়ি ও মাদবরচরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ সকল ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পরায় মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এলাকার ফসলি মাঠ, টিউবওয়েল, স্কুলেও পানি ঢুকে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ গো খাদ্যর সংকট। একদিকে বন্যার পানি আরেক দিকে পদ্মার ভাঙনে আক্রান্ত হয়ে চরজানাজাতের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে এখনো এ সকল এলাকায় কোনো ধরনের ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি।  
আরিচায় পানি বিপদসীমার ৪০ সে.মি. উপরে
আরিচা সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর আরিচা ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার এ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আরিচা ঘাটের কাছে পদ্মা-যমুনা নিহালপুর বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে। আরিচা গরুর হাটের নিকট থেকে দক্ষিণ শিবালয় খালপার পর্যন্ত রাস্তা তলিয়ে গেছে। আরিচা পিসিপোল কারখানার ভিতরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কর্তৃৃপক্ষ দু’একদিনের মধ্যে কারখানা বন্ধ করে দিবেন বলে জানা গেছে।  
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অফিসের গেজ রিডার আলমগীর হোসেন জানান, যমুনা নদীর এ পয়েন্টে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির লেবেল ছিল ৯.৭১ সে.মি, যা বৃদ্ধি পেয়ে বৃসহস্পতিবার সকাল ৯টায় হয়েছে ৯.৮৫ সেন্টিমিটার। আরিচা পয়েন্টে পানির বিপদসীমার লেবেল হচ্ছে ৯.৪৫ সেন্টিমিটার।
এতে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন এবং প্লাবিত হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিসহ নতুন নতুন এলাকা। রাস্তাঘাট ভেঙে ও ডুবে গিয়ে এসব এলাকার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জামালপুরে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে
জামালপুর জেলা সংবাদদাতা : জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে আরো ৩২ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি বিপদসীমার ১১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনা তীরবর্তী এলাকার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭টি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার কারণে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলাসমূহের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে, মেলান্দহ রেলস্টেশন থেকে ইসলামপুর হয়ে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও গত দুইদিন ধরে জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা সমূহের আরো ১৫টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল জানান, ইসলামপুরের যমুনা তীরবর্তী এলাকা বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এসব এলাকার পানিবন্দিদের ঘরে ঘরে ত্রাণের জন্য হাহাকার এবং বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট চলছে। এছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকার বাড়িঘর এবং ফসলি জমির মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় গো-খাদ্যেরও তীব্র সঙ্কট চলছে।
ইসলামপুরে তিন শিশুর মৃত্যু
ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ইসলামপুরে বন্যার পানিতে পড়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের আইড়মারী গ্রামের মোনাহারের ছেলে রাকিব (২) ও মুনছেন আলীর ছেলে ইয়াছিন (২) বন্যার পানিতে পড়ে মারা যায়। স্থানীয় চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টর এ খবর নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, বন্যার পানিতে পড়ে উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের গামারিয়া গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে সোলায়মান (৮) নিহত হয়েছে। জানা গেছে, সোলায়মান গতকাল দুপুরে খেলার ছলে হারিয়ে যায়, আত্মীয়স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে বিকালে বাড়ির পাশে খালে তার লাশ দেখতে পায়।
ঘাঘটে তিস্তা ব্রহ্মপুত্রে নদীর পানি অব্যাহত
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : ঘাঘট, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি ৮৬ সে. মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের ৮১ সে. মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে মাছ ধরতে গিয়ে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা সদর ইউনিয়নের বাঁশহাটা গ্রামের নুরুন্নবী মিয়া (৩৫) বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন জানান, গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুটিপাড়া ও ডেভিডকোম্পানীপাড়ার ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বাঁধ দিয়ে পানি চোয়াচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে শহরবাসি আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার ৯ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই এলাকার পশ্চিম পাড়ের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া ভরতখালীর সোনাইল বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সাঘাটার ২০টি গ্রামে নতুন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের ২০টি পয়েন্টে সড়কের উপর দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহনসহ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ