Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে বাসায় সুস্থ ৮৪ ভাগ করোনা রোগী

কমছে না টেস্টে নমুনাজট

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে বাসায় থেকে টেলিমেডিসিনে সুস্থ হচ্ছেন ৮৪ শতাংশ করোনা রোগী। বাকি ১৬ ভাগ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে মাত্র তিনভাগ রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। বাকিরা অক্সিজেন কিংবা ওষুধে সেরে উঠছেন। সিভিল সার্জন ও করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে নমুনা টেস্ট নিয়ে মানুষের হয়রানি কমছে না। ল্যাবের সংখ্যা একটি থেকে এখন সাতটি। একমাস আগেও দিনে তিনশ নমুনা পরীক্ষা হতো। এখন গড়ে প্রতিদিন এক হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এরপরও নমুনাজট বাড়ছে। ফলাফল পেতেও দশ থেকে পনের দিন পার হয়ে যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে নমুনা সংগ্রহে বুথ হওয়ায় মানুষ সহজে নমুনা দিতে পারছেন। তবে রিপোর্ট পেতেই অনেকে মারা যাচ্ছেন। আবার অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

গতকাল শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬২৫ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৭১ জন। যা মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৮ জন। আর বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ছয় হাজার ৩৯৭ জন। হাসপাতালে এখন ভর্তি আছেন ৩২০ জন। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯০৮জন। গতকাল পাঁচজনসহ মারা গেছেন ১৬৫ জন।
আর বাসায় থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৬৩ জন। এখন বাসায় চিকিৎসাধীন ৬০৬ জন। করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকেরা বলছেন, শুরুতে রোগী কম থাকায় যাদের করোনা পজিটিভ হতো তাদের হাসপাতালে আইসোলেশনে নিয়ে আসা হতো। এখন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে হাসপাতালের পাশাপাশি বাসা বাড়িতে আইসোলেশনে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাসায় যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা চিকিৎসকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ওষুধ সেবন করছেন। এর মধ্যে যাদের শ্বাসকষ্টসহ জটিলতা দেখা যাচ্ছে তাদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

অনেকে করেনা পজেটিভ হওয়ার পরই হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন। তাদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। তবে যাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে স্বীকার করেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, যারা উপসর্গ নিয়ে আসছেন তাদের করোনা রোগীদের সাথে রাখা যাচ্ছে না। আবার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য হাসপাতালে শয্যাও কিছুটা কম। ফলে তাদের ভর্তি নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যথা সময়ে রিপোর্ট না পাওয়ায় করোনা রোগীদের মধ্যে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদেরও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিসকেরা এজন্য টেস্টের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি ইনকিলাবকে বলেন, ৮৪ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে টেলিমেডিসিনে ভাল হয়ে যাচ্ছেন। শুরুতে হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট থাকলেও এখন অনেক শয্যা খালি পড়ে আছে। তবে আমরা হাসপাতালে আইসিইউ এবং অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোও তাদের আইসিইউ উম্মুক্ত করে দিচ্ছে। তিনি বলেন আইসিইউ সার্পেট দরকার নেই এমন অনেকেও আইসিইউ চেয়ে বসছেন, তদ্বির করছেন। এতে জরুরি রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। করোনা টেস্টের জট কমে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ল্যাবের সংখ্যা বেড়েছে। কিটের সরবরাহ বাড়লে টেস্ট আরও বাড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ