বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন ও প্রেমের অভিনয় করে অভিনব কায়দায় ১৪ বছরের এক নাাবলিকা এক স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষনে অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার ৮মাস পর তার পিতার অভিযোগে ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করেছে রামগড় থানা পুলিশের জোয়ানরা। রাত ২টায় রামগড় থানার এস আই মোঃ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রামগড়ের মহামুনি এলাকায় ধর্ষকের আত্মীয় বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ২নং পাতাছড়া ইউপির ৭নং ওয়াডের বেলছড়ি পাড়ার ধর্ষিতার পিতা হাসিরাম ত্রিপুরা জানান, তার মেয়ে রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব বেশি হওয়ায় তার মেয়ে গার্লস হোস্টেল থেকে পড়া লেখা করে আসছিলো। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরার মা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ভুবন মোহন ত্রিপুরার স্ত্রী প্রাথমিক বিঃ শিক্ষিকা মনিপ্রভা ত্রিপুরা তার শারীরিক অসুস্থ্যতার দোহায় দিয়ে অনেক অনুরোধ করে তার মেয়েকে পড়ালেখার সহযোগীতার পাশাপাশি তাদের বাড়িতে(রামগড় ডেবারপাড়) নিয়ে আসেন গৃহস্থালি কাজে তাকে সহায়তা করতে।
পরবর্তীতে ভুবন মোহন ত্রিপুরার ছেলে ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়ের সাথে প্রতিনিয়ত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
অসহায় হয়ে মেয়ে অন্ত:সত্তা হওয়ার বিষয়টি ধর্ষকের পরিবারকে জানানো হলে ও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি সামাজিক ভাবে রামগড় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদে অভিযোগ দায়ের করেন। ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ থেকে বিষয়টি দুই দুইবার বসে সুরাহা করার চেষ্টা করা হলেও ধর্ষকের পরিবারের সদস্যদের প্রভাব খাঁটিয়ে দীপ্ত এর সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরার নামে রামগড় থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
মামলা করার পর থেকে বাদী হাসিরাম ত্রিপুরা জীবন শংকায় আছেন। তিনি জানান গত কাল রাতে গ্রেফতারের কিছুক্ষন আগে দীপ্ত ত্রিপুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে "পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে" এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তাদের হুশিয়ারি করেন।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ রামগড় আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ও রামগড় ২নং পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিন্দ্র ত্রিপুরা জানান, দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ধর্ষকের পরিবারের প্রভাবের কারণে এই বিষয়ে কোন মীমাংসায় আসতে পারি নাই।তিনি এই অমানবিক ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ রামগড় আঞ্চলিক শাখার যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শ্রী বিজয় সেন ত্রিপুরা ও নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ এর এক প্রতিনিধি বলেন, এই ঘটনায় যদি কোন প্রভাব খাঁটিয়ে বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করা হয় তাহলে মানব বন্ধন সহ বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করবে সংগঠনটি। এর সুস্থ বিচারের মাধ্যমে অসহায় মেয়েটির বরণ পোষনের ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ওসি(তদন্ত) মনির হোসেন জানান ধর্ষিতার পিতা হাসিরাম ত্রিপুরা ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরাকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো:শামসুজ্জামান এ প্রতিনিদিকে জানান,শুক্রবার রাত ২টায় গ্রেফতারের পর আসামীকে জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীত্বে আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।