Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এতদিন পর বীরবিক্রম খেতাব পেল মুক্তুিযোদ্ধা আব্দুল খালেক

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ৭:০৫ পিএম

বাড়িঘর লুট হয়ে গেছে। আর তিনি বুকে-পিঠে গুলির ক্ষত নিয়ে ২০ বছর ফেরারি আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। ১৯৭৫-এর পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাঁকে এভাবেই দুর্ভোগে ফেলেছে।

২০১১ সালে এসে তিনি জানতে পারেন একাত্তরের বীরত্ব প্রদর্শনের সম্মান হিসেবে তাঁকে বীর বিক্রম খেতাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে একটি ক্রমিক নম্বর ওলটপালট হয়েছিল। সেটি ঠিক করতেই গেল আরও ৯ বছর। যুদ্ধের ৫০ বছর পরে তাঁর নাম বীর বিক্রম হিসেবে এবার গেজেটভুক্ত হয়েছে।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আবদুল খালেক। তাঁর বাবার নাম মৃত কামির উদ্দীন মন্ডল। বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাঁপাল গ্রামে। তাঁর বয়স এখন ৮৩ বছর। ৬ জুন নতুন প্রকাশিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে তাঁর নাম উঠেছে।

আবদুল খালেক ১৯৬৩ সালের ১ জুন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর মা-বাবার বিশেষ অনুরোধে চাকরি ছেড়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ চলাকালে ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বুকে গুলি লাগে। এরপরও তিনি বেঁচে যান।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে তাঁর পরিবারের ওপর রাজাকারেরা নানা অত্যাচার শুরু করে। বাড়িঘর লুট করে নিয়ে যায়। একের পর এক মামলা দিতে থাকে।

এই মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে আবুল হাসনাত জানান, ২০১১ সালে জনতা ব্যাংক প্রকাশিত ঠিকানাবিহীন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা দেখে তাঁরা গেজেট সংশোধনের আবেদন করেন। সে আবেদন মন্ত্রণালয় থেকে হারিয়ে যায়। গত বছর নতুন করে আবার আবেদন করেন। এরপর গত ২৪ মার্চ নতুন প্রজ্ঞাপনে তাঁর বাবার পূর্ণাঙ্গ পরিচয়সহ তাঁকে বীর বিক্রম উপাধি দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ