পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : লেনদেনের দিক থেকে জুনে তিন খাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) অবদান ছিল সাড়ে ৫১ শতাংশ। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওষুধ, প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ খাত। মে মাসের তুলনায় জুন এমনটি হয়েছে। জুনে লেনদেনে প্রথম হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছিল প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। জুন জুনে ডিএসইর অবদান ৫১ শতাংশ হলেও এর আগের মাস; মে মাসে ছিল ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে তিন খাতের অবদান বেড়েছে ৩ শতাংশ। বিভিন্ন ইস্যুতে লেগে থাকা দরপতনে এসব খাতের শেয়ারের দাম যৌক্তিক দামের চেয়ে কম থাকার পাশাপাশি ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলো সর্বশেষ বছরের জন্য তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কোম্পানিগুলো দেশের পুঁজিবাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজার থেকে টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এ টাকা কোম্পানির ক্যাপাসিটি ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে। এর ফলে কোম্পানিগুলোতে মুনাফা বাড়বে। এ কারণে এসব খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন। এদিকে এ তিন খাতের পাশাপাশি মে মাসে পঞ্চম স্থানে থাকা বস্ত্র খাত, জুনে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। ডিএসইর পাশাপাশি দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতগুলোর লেনদেনের পরিমাণে একই অবস্থা দেখা গেছে। অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা খাতগুলো হলো বন্ড, পেপার এন্ড প্রিন্টিং, পাট, মিউচুয়াল ফান্ড, ট্যানারি, সিরামিক, আইটি, ট্রাভেলস, টেলিকম ও বিমা খাতের শেয়ার। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ৩শ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ২০ খাতে লেনদেন করে। জুন মাসে ডিএসইতে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ২২৩ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ২৬৪টি শেয়ার কেনাবেচা করেছে। যা টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ ৮ হাজার ১৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৮ টাকার। এরমধ্যে শীর্ষে থাকা তিন খাতের ৬৪ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ৭১৬ শেয়ার কেনাবেচা বাবদ মোট ৪ হাজার ২০৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ০৩৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ডিএসইর মোট লেদেনের ৫১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর আগের অর্থাৎ মে মাসে ডিএসইতে মোট ২২৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫৪ শেয়ার কেনাবেচা বাবদ ৮ হাজার ১৪২ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে তিন খাতের ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৬৫টি শেয়ার থেকে কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৯ টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা কম। ডিএসইর তথ্য মতে, জুন মাসে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের মোট ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মে মাসে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩২টি। মে মাসের মতোই জুন মাসেও দ্বিতীয় স্থান দখলে রেখেছে প্রকৌশল খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর আগের মাসে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ অবদান ছিল। ডিএসইর মোট ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ লেনদেন হওয়ায় প্রথম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। অপরদিকে মে মাসে পঞ্চম স্থানে থাকা বস্ত্র খাত উঠেছে চতুর্থ স্থানে। আর চতুর্থ স্থানে থাকা ব্যাংক খাত আরো এক ধাপ নিচে নেমে অবস্থান করছে পঞ্চম স্থানে। এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানিতে জুন মাসে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। বস্ত্র খাতে বাজারে তালিকাভুক্ত ৪৪টি কোম্পানির এ খাতে জুন মাসে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।