Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না

সৈয়দপুর (নীলফামারী) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ৫:২৭ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলমান জীবনঘাতী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না শিল্প ও বাণিজ্য প্রধান শহর সৈয়দপুরে। আগের মতোই চলাফেরা করছে সর্বত্র সৈয়দপুরের জনসাধারণ। অনেকেই মুখে মাস্ক ছাড়াই বাইরে চলাফেরা করছেন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে। বাজারে কেনাকাটা করছেন একেবারে গাঁয়ে গাঁ ঘেঁষে যে যার মতো। অনেকেই আবার ঘুরছেন বাজারে কিংবা সড়কে। সাধারণ ছুটির পর জীবন ও জীবিকার তাগিদে সীমিত পরিসরে সবকিছু খুলে দেওয়ার পর থেকে এ অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মানুষ যেন করোনা ভুলতে বসেছেন।
আজ শনিবার সৈয়দপুর বাণিজ্যিক শহরের মূল সড়ক ও বাজারে দেখা যায়, কেউ কেউ মাস্ক পরলেও অনেকের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে কথা বলার সময় মাস্ক খুলে ফেলছেন। বাজারের কয়েকজন দোকানি বলেন, আমরা ক্রেতাদের দূরে দাঁড়াতে, মাস্ক পরতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলি। কিন্তু ক্রেতারা অসন্তোষের ভাব নিয়ে কোন কথাই শুনতে চান না। বাজারে পণ্য কিনতে আসা মনোয়ার নামে এক ক্রেতা জানান, দেশে করোনার ভয়াবহ অবস্থা। এরপরও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। তিনি বাইরে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের অভিযান চালানোর তাগিদ দেন। অপরদিকে গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে মানুষজন মুখে মাস্ক তো লাগাচ্ছোই না, সামাজিক দূরত্ব পর্যন্ত মেনে চলছেন না।
বিশেষ করে সৈয়দপুরে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার বিধি চরমভাবে লংঘন করতে দেখা যাচ্ছে। ইদানিং এক শ্রেণির পণ্য ব্যবসায়ী রাত ৯ টার পরও দোকান খোলা রাখছেন। শহরের শহীদ শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, ডা. সামসুল হক সড়ক, শেরে বাংলা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে কনফেকশনারি, হোটেল রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য দোকানপাট দিব্যি খোলা থাকছে। ওইসব ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক শার্টার বা ঝাপ খুলে দেদারছে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের লোকজন আসা মাত্রই দোকান বন্ধ করছেন। আবার তারা চলে যাওয়ার পর দোকান খুলে রাখছেন। তারা সরকারের স্বাস্থ্যবিধির ধার ধরছেন না। এসব ব্যবসায়ীদের কারণে অধিক রাত পর্যন্ত অসংখ্যক মানুষ বাইরে চলাফেরা করছে। এ সব ব্যবসায়ীরা নিজেরাও বিধি মানছেন না, উল্টো অন্যদের অযথা বাইরে বের হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। ফলে শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের চলাচল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সচেতন মহল উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরার বিষয়ে জানতে চাইলে শহরের এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক জানান, বাইরে চলাচলে অবশ্যই মাস্ক পরা এবং সাধ্যমতো শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার। এর অন্যথা করলে সংক্রমণের বিপদ বাড়বে। তিনি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল, ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ