Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ১ দশমিক শূণ্য ৫ জনে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ৪:৫১ পিএম | আপডেট : ১১:০৯ পিএম, ২৬ জুন, ২০২০

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন রোগী ১ দশমিক শূণ্য ৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি তারা তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই তথ্য জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন দেশে করোনা সংক্রমণ পিকের (সর্বোচ্চ সংক্রমণ) কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে। কোরবানি ঈদের সময় যদি মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে সংক্রমণ আরো বাড়বে।

শুক্রবার (২৬ জুন) বাংলাদেশে করোনা : ছয় মাসের পর্যবেক্ষণ শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক এক আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালম আজাদ, অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এম এ ফয়েজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি জনস্বাস্থ্যবিদ প্রফেসর ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোসতাক হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ।

উল্লেখ্য, একজন করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী মহামারির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গড়ে কত জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন, সেই ধারণা পাওয়া যায় যে সংখ্যার মাধ্যমে, সেটিকে ইংরেজী অক্ষর ‘আর’ এর গড় মান ২ থেকে ২ দশমিক ৫-অর্থাৎ প্রত্যেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে দুইজনের বেশি মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন। তবে বিভিন্ন দেশ এবং ভৌগলিক অঞ্চলভেদে এই ‘আর’-এর মান পরিবর্তিত হয়ে থাকে। 

বক্তারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনস্থ অধিদপ্তরগুলোতে নেতৃত্ব ও সমন্বয়ের ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পনার ঘাটতি, দক্ষ জনবল ও অবকাঠামোর অভাব, দেশি বিশেষজ্ঞদের ঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারাসহ বিভিন্ন দুর্বলতার কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে এখনো জনগণের সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাসও কম বলে উল্লেখ করেন তারা।

প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আদাজ বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ নয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ কাজ করছে। করোনার মতো এই দুর্যোগ মোকাবেলায় শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্বই প্রস্তুত ছিলো না। প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয় সামনে আসছে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ