পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আউটার রিং রোডের কাজ শেষ হয়নি। শেষ হয়নি পোর্ট কানেকটিং রোডের সংস্কারও। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর-ইপিডেজ এলাকায় শুরু হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। ফলে দেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর এবং দেশের সর্ববৃহৎ ইপিজেড চট্টগ্রাম ইপিজেডকে ঘিরে অচলাবস্থার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর প্রধান সড়কে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেড পর্যন্ত সড়কের একাংশ দখলে নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে। এতে এই অংশে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে ইপিজেড মোড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং অংশে কাজ শুরু হলে যানজট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেড। পতেঙ্গা এলাকায় রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো। প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়েক হাজার ভারী যানবাহন এ দুুুটি ইপিজেড এবং কন্টেইনার ডিপোতে আসা-যাওয়া করে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভারী যানবাহন আসে ডিপোগুলোতে।
রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ডিপো থেকে জ¦ালানি তেলবাহী শত শত লরি চলাচল করে এই সড়ক হয়ে। দুটি ইপিজেড ছাড়াও পতেঙ্গা এলাকার শিল্পকারখানা লাখ লাখ শ্রমিকের যাতায়াত এই সড়কে। সড়কের একাংশ বন্ধ করে ঘোর বর্ষায় খোঁড়াখুঁড়িতে যানজটে জনদুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ-সিডিএর কর্মকর্তারা বলছেন, জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রæততম সময়ে এই অংশের কাজ শেষ করা হবে।
নগরীর ব্যস্ততম প্রধান সড়কের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৪ ফেব্রæয়ারি তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। বন্দরনগরীর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্প ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
কাজ শুরুর প্রায় দেড় বছরেও অগ্রগতি সামান্য। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর। সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে পতেঙ্গা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত মাত্র ৫ কিলোমিটারের পাইলিং শেষ হয়েছে। এখন সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড হয়ে বন্দর পর্যন্ত কাজ চলছে। গেল বছর এই অংশে কাজ শুরু উদ্যোগ নেওয়া হলেও ট্রাফিক বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের আপত্তির মুখে কাজ শুরু করা যায়নি।
ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে যানজট কমাতে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রিং রোডের নির্মাণ কাজ এবং পোর্ট কানেকটিং রোড়ের সংস্কার কাজ শেষে ইপিজেড বন্দর অংশে কাজ শুরু করতে বলা হয়। আবার প্রকল্পের নকশা নিয়েও আপত্তি তুলে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে নকশাও পরিবর্তন করা হয়। তবে আউটার রিং রোড এবং পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজ শেষ না হতেই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী ও আউটার রিং রোড প্রকল্পের পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস ইনকিলাবকে বলেন, রিং রোডের কাজ পুরো শেষ না হলেও ওই সড়কে কিছু ভারী যানবাহন চলছে। ফলে বন্দর ইপিজেড এলাকায় ভারী যানবাহনের চাপ আগের মতো নেই। তবে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হওয়ায় ওই এলাকায় যানজট হচ্ছে। বিকল্প সড়কগুলোতেও এর প্রভাব পড়ছে। এরপরও ট্রাফিক বিভাগ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আউটার রিং রোড এবং পোর্ট কানেকটিং রোড পুরোদমে সচল হলে যানজট কমিয়ে আনা যেত।
এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। করোনায় প্রায় এক মাস কাজ বন্ধ থাকার পর এখন কাজ পুরোদমে চলছে। উন্নয়নের সুফল পেতে হলে কিছুটা দুর্ভোগ মেনে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তবে দ্রæত সময়ে এই অংশের কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।