পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে অর্থ বিভাগে আবেদন করা শুরু করেছেন করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরিজীবীরা। এরইমধ্যে ২০-২৫টি আবেদন জমা পড়েছে। আরও হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিটি আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে অর্থ ছাড় করা হবে। এদিকে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে করোনার শুরু থেকে সুস্থতার সাথে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের জন্য কোন প্রণোদনা না থাকায় চিকিৎসক-নার্স, পুলিশসহ অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের দায়িত্ব পালনে উৎসাহ দিতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ২৩ এপ্রিল ক্ষতিপূরণ নিয়ে পরিপত্র জারি করে অর্থ বিভাগ। সে অনুযায়ী, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে গ্রেড ভেদে পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ লাখ এবং আক্রান্ত হলে পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা পাবেন।
সংক্রমণ শুরুর সাড়ে তিন মাসে প্রায় ১৫ হাজার সরকারি চাকরিজীবী আক্রান্ত। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পুলিশে। এ পর্যন্ত বাহিনীটির প্রায় সাড়ে ৯ হাজার সদস্য শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩৪ জন। এরইমধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেড় হাজারের বেশি আবেদন পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি সরকারি চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। মারা গেছেন ত্রিশ জনের বেশি।
জনপ্রশাসনের প্রায় দু’শ কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত, মারা গেছেন দশ জন। তাদের কয়েকজন ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছেন। সশস্ত্র বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা, ফায়ার সার্ভিস এবং কারা অধিদফতরের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও আক্রান্ত।
শনাক্ত-মৃত্যু এভাবে চলতে থাকলে চাপ বাড়তে পারে সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তহবিলের ওপর। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রত্যাশিত খাতে বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা এবং করোনা মোকাবিলায় দশ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয়ের চিন্তা করছে অর্থ বিভাগ।
এরইমধ্যে অর্থ বিভাগে বিশ-পঁচিশটি আবেদন পড়েছে। তিন ধাপে যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা। অর্থ ছাড় শুরু হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এদিকে করোনার শুরু থেকে যারা সুস্থতার সাথে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে করোনার শুরু থেকে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের জন্য কোন প্রণোদনা না থাকায় চিকিৎসক-নার্স, পুলিশসহ অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারাতো অনেক দিন দায়িত্বই পালন করেননি। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাদের কাজও আমাদের করতে হচ্ছে। অথচ আমরা যারা সুস্থ তাদের সবসময়ই ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই আমাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।