Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুতুড়ে বিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই

সিপিডির সংলাপে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন ভুল হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনার সময়ে বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কিছু কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে বেশি বিল করে ফেলা হয়েছে। এটা ভুল হয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি। নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে গেলেই বিল ঠিক করে দেবে। গ্রাহকের কোনো ভয় নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না।

গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিদ্যুৎ খাতের বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। তবে এর আগে কয়েকজন বক্তা এই বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান এই সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া বিদ্যুৎ খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। অধ্যাপক রেহমান সোবহান ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ তিনটি প্রশ্ন রাখেন।

তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অনুসারে বিদ্যুতের চাহিদার কোনো প্রাক্কলন আছে কি না? ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বাদ দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে ব্যবসায়িক চাহিদার কোনো সমন্বয় আছে কি?
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আর রাখতে চাই না। গত বছর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অবসরে পাঠানো হবে। বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি অর্থায়ন আনতে বিদ্যুৎ বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সিপিডির মূল প্রবন্ধে বলা হয়, করোনা সঙ্কটের সময় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় অধিক উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। খরচ সাশ্রয়ে এই অতিরিক্ত সক্ষমতা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করা দরকার। ভবিষ্যতে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগতে পারে, সেটা বিবেচনায় এনে বিদ্যুতের চাহিদা একটি পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।

এই বিষয়ে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতিরিক্ত সমক্ষমতা অনেক পরিকল্পনা করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত সক্ষমতা খরচও বাড়ায়। তাই এর ব্যবস্থাপনা ঠিক করা দরকার। তা না হলে বাড়তি খরচ শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর চাপে। তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর বাইরে নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনায় না যাওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের কি ক্ষতি করছে- তা নিয়ে একটি স্বাধীন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। সরকার এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল আছে। প্রয়োজনে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
সাবেক বিদ্যুৎ সচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, সারা দুনিয়া ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসছে। বাংলাদেশ এখনো আসছে না।



 

Show all comments
  • Ismail ২৫ জুন, ২০২০, ১০:০০ পিএম says : 0
    My bill is wrong. No light No fan no use electricity but bill is 1400 taka how can Minster why do it
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৫ জুন, ২০২০, ১০:২০ পিএম says : 0
    বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, করোনার সময়ে বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়ে কিছু কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে বেশি বিল করে ফেলা হয়েছে। এটা ভুল হয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি। নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে গেলেই বিল ঠিক করে দেবে। গ্রাহকের কোনো ভয় নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না। একইভাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জুনের প্রথম দিকে বলেছিলেন অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করার জন্যে এবং পরবর্তীতে সেটা সংশোধন করা হবে। সাথে সাথে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন জুন মাসের মধ্যে বিল নাদিলে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর এই কথা শুনার পর আমার মত অনেক বাড়ির মালিকেরা তাদের এবং ভাড়াটিয়াদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে অফিসে গেলে অফিসের লোকজন বলেছেন বিল দিয়ে দিন পরবর্তীতে বিল এডজাস্ট করে নেয়া হবে এটাই উপরের নির্দেশ। আমরা সেইভাবে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে এসেছি। এখন যারা আমাদের মত বিল না দিয়ে শেষ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল তার এই অতিরিক্ত বিল সংশোধন করে পরিশোধ করার সুযোগ পেল এটা আমাদের প্রতি সঠিক বিচার করা হয়নাই। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর উচিৎ ছিল তিনি যে নির্দেশ প্রথমে দিয়েছিলেন সেটার উপরই অবিচল থাকা। এভাবে আজ এক নির্দেশ আগামীকাল আবার পরিবর্তন করা এটা কোন দিনও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব কারনেই বর্তমান সরকার বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে এবং ভবিষতেও পরবে। এমনকি তাদের এহেন কর্যকলাপের জন্যে সরকারের পতন হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছুই নহে। আল্লাহ্‌ আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে বার বার সিদ্ধান্ত বদলানোর প্রবনাতা বন্ধ করে সঠিক ভাবে সিদ্ধন্ত নিয়ে সেইভাবে এগিয়ে যাবার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ