পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ঘরবন্দি যুবকরা সময় কাটানোর জন্য বিকেল থেকে রাত অবধি ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতে উঠেছে। কি গ্রাম কি শহর সবত্রই বিকেল হলেই শুরু হচ্ছে ঘুড়ি ওড়ানো। বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি উড়ছে আকাশে। এমনকি রাতের বেলাতেও উড়ছে বাতি লাগানো ঢাউস আকারের ঘুড়ি।
এদিকে বিমান উড্ডয়ন করে এমন এলাকায় ঘুড়ি উড়াতে মানা করে গত তিন দিন ধরে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। কারণ আকাশে ওড়ানো ঘুড়ির কারণে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে উড্ডয়ন করছে এখানকার প্রশিক্ষণ বিমানগুলো। গত ২৪ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহী-ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী বিমান যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরের প্রত্যেক দিন দুই-তিনটি প্রশিক্ষণ বিমান আকাশে উড্ডয়ন করে থাকে।
এ ব্যাপারে নগরীর শাহমখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজার সেতাফুর রহমান জানান, আমাদের এখান থেকে গড়ে প্রত্যেক দিন তিনটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করছে। তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী যেসব এলাকায় বিমান উড্ডয়ন কিংবা ওঠা-নামা করে থাকে সেসব এলাকায় ঘুড়ি ওড়াতে নিষেধ করে মাইকিং করা হচ্ছে। শুধু প্রশিক্ষণ বিমান নয়, ঢাকা থেকে রাজশাহীতে হঠাৎ করে যাত্রীবাহী বিমান আসলে যেন ঘুড়ি ওড়ানোর কারণে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য মানুষকে সতর্ক হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে এই বিমান বন্দর থেকে দুটি ফ্লাইং একাডেমি তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। কিন্তু আকাশজুড়ে উড়ানো ঘুড়ির কারণে অনেকটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু ঘুড়ি অনেকটা উপরে ফ্লাইং রুটে উড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে ঘুড়ি ও সুতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকছে। তাই আমরা ঘুড়ি উড়ানো বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকাজুড়ে মাইকিং করেছি। তবে সেটি উপেক্ষা করে এখনও ঘুড়ি উড়ানো অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিমান বন্দর ম্যানেজারকে মাইকিং করতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নির্দেশনা না মানে, তাহলে ঘুড়ি ওড়ানো ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।