পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চাঁদপুর ও খুলনায় ৩ জন করে; ঝালকাঠিতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় লকডাউন চলছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে গতকাল ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে আরো করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে টেস্টে করোনা রোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যবিপ্রবি সূত্র জানায়, যশোরের ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের, মাগুরার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের, নড়াইলের ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের, ঝিনাইদহের ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের, বাগেরহাটের ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের ও সাতক্ষীরার ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৩০ জনের নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমণে নতুন করে আরো ৬৬ জন আক্রান্ত হলেও বরিশাল জেলাতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩। মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরো এক জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৩ জনসহ মোট ৫৬৩ জন সুস্থ্য হয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ১৬৪ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন মাত্র ৫৬৩ জন।
বিভিন্ন সরকারি হাসতালগুলোর আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১ হাজার ১৫৯ জনের মধ্যে ৬০২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৪৬ ও করোনা ওয়ার্ডে ১৮৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে আইসোলেশন থেকে ১৯৮ জন ও করোনা ওয়ার্ড থেকে ১১৯ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটির আইসোলেশেনে ১৮ জনকে ভর্তি ও ৩ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এসময়ে মৃত্যুও হয়েছে একজনের। অপরদিকে, হাসপাাতালটির করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন নতুন রোগী ভর্তি না হলেও এসময়ে ৩ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আরো ৪৪ জন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত ১১টা থেকে গতকাল ভোর ৫টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, খুলনা মহানগরীর বাবু খান রোডের মৃত সুলতান আলীর ছেলে পান্না ওয়াজেদ, টুটপাড়ার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মহাসিন খোকন ও নড়াইল সদর উপজেলার মহেশখোলা গ্রামের মৃত আক্কাস শেখের ছেলে কাশেম শেখ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে পান্না ওয়াজেদকে গত সোমবার বিকেলে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এছাড়া তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর ৫টায় তার মৃত্যু হয়। করোনার উপসর্গ নিয়ে নগরীর টুটপাড়ার সরকারি সুন্দরবন কলেজ এলাকার মহাসিন খোকন গত সোমবার দুপুর সোয় ১২টায় হাসপাতালে ভর্তি হন। দুদিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাশেম শেখ সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌঁনে ২টায় তার মৃত্যু হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান ডা. মিজানুর রহমান। উল্লেখ্য, করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় নতুন করে ২৫১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন রাজশাহী জেলায়। গত সোমবার এই ছয়জন মারা যান।
গতকাল দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য জানান, মারা যাওয়া অন্য তিনজনের বাড়ি বগুড়া। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন মারা গেলেন করোনায়। আর নতুন তিনজন মারা যাওয়ায় রাজশাহী জেলায় মৃতের সংখ্যা ৬। গোটা বিভাগে এ পর্যন্ত ৫৫ জন মারা গেলেন করোনায়। রাজশাহী ও বগুড়ার বাইরে বিভাগের নওগাঁয় ৪, নাটোরে ১, সিরাজগঞ্জে ৩ এবং পাবনায় ৫ জন মারা গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং জয়পুরহাটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার নতুন শনাক্ত ২৫১ করোনা রোগীর মধ্যে ১৩৬ জনই বগুড়ার বাসিন্দা। এছাড়া রাজশাহীতে ৩৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২, জয়পুরহাটে ১, সিরাজগঞ্জে ১২ এবং পাবনায় ৬৫ জনের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭৫ জন। এর মধ্যে বগুড়ায় ২ হাজার ৩৩০, রাজশাহীতে ২৯৯ জন, জয়পুরহাটে ২৫৫, নওগাঁয় ২৩৯, সিরাজগঞ্জে ২৮০, পাবনায় ৩৩৬ জন, নাটোরে ১৩৯ জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৮ জন শনাক্ত হয়েছেন।
রাজশাহীতে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের ৭জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরএমপির মুখপাত্র বলেন, এদের সদকলেই দায়িত্বরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন। গত এক মাসে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) ও জেলা পুলিশের মোট ২৯ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে নগর পুলিশের ২১জন ও জেলা পুলিশের ৮জন সদস্য। সোমবার পর্যন্ত নগর ও জেলা পুলিশের এই সদস্যরা দায়িত্বরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের সারিতে পুলিশের কন্সটেবল, ট্রাফিক পুলিশ ও অফিসার রয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, মহানগর পুলিশের মোট ২১ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৭জন। সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম জানান, রাজশাহী জেলার মোট ৮জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩জন সুস্থ হয়ে ডিউটিতে ফিরেছেন। ৫জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত আছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। পুলিশ সুপার মহোদয় নিয়মিত তাদের খবর রাখছেন ও চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে (অর্থোপেডিক্স বিভাগ) কর্তব্যরত দুই চিকিৎসকসহ ছয়জনের নমুনায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসার পর রাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস গত সোমবার রাতে জানান, ৩১ নং ওয়ার্ডে কর্তব্যরত দুইজন চিকিৎসক এবং চারজন নার্স-ওয়ার্ডবয়ের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে। এজন্য সংক্রমণ ঠেকাতে ওয়ার্ডটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাজশাহীর দুই ল্যাবে ৮৬ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন রাজশাহীর। এ নিয়ে রাজশাহীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহী নগরে ১৮৬ জন।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল রাতে পটুয়াখালীতে প্রাপ্ত রিপোর্টে নতুন করে ৬ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে গলাচিপা পৌর এলাকার ৬২ বছর বয়সের একজন মহিলা, ১৪ বছর বয়সের একজন ছেলে, পটুয়াখালী পৌর এলাকা ও সদরের তিনজন পুরুষ এবং বাউফলের নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫০ এ।
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় মঙ্গলবার নতুন করে আরও ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা সনাক্ত ৭২ জন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩৬ জন। মারা গেছে ২ জন। নতুন সনাক্ত ৫ জনের বাড়ি মাগুরা সদরে,২ জনের বাড়ি মহম্মদপুরে ও একজনের বাড়ি শালিখায় বলে জানা যায়। তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. প্রদিপ কুমার সাহা জানান, গতকাল জেলায় নতুন করে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মাগুরায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা সনাক্ত হয়েছে ৭২ জন। মাগুরায় হঠাৎ লকডাউনে বেশ বেকায়দায় পড়েছে শহরের রেড জোন পিটিআই ও খানপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ। নিরুপায় হয়ে সেখানকার অনেকেই লকডাউন ভেঙ্গে বের হতে বাধ্য হচ্ছে। মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, প্রবেশ মুখে প্রহরার পাশাপাশি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্যে সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিছু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার বাসায় মোয়াজ্জেম হোসেন পাটোয়ারির মৃত্যু হয়। তিনি এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি ও বুকে ব্যাথায় ভুগছিলেন। এদিকে একই দিন সকালে কাঁঠালিয়া উপজেলার জয়খালী গ্রামে রেনু বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার ৮ দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। রেনু বেগম জয়খালী গ্রামের মৌজে আলীর স্ত্রী। স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় আবারো পাঁচজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষ। গতকাল করোনা শনাক্তের বিষয়টি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হলেন ১১০ জন।
নতুন করোনা শনাক্তরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের আইনুল হক, বৈকারি গ্রামের হালিমা খাতুন, তালা উপজেলার বাগমারা গ্রামের সুমি বেগম, শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের সবুজ ও একই উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের সাঈদ। গত সোমবার সাতক্ষীরায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন। তাদের বাড়ি পুলিশ লকডাউন করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ উপজেলার ৩টি পৌরসভার ১০টি এলাকাকে ১৩ জুন থেকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে এসব এলাকায় মঙ্গলবার ২৩ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত সাধরণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে বাসা থেকে বের হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মোবাইল টিমসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫শ’ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে আরও ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০৪ জনে। ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪৯ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৫ জন। সদর, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ৯ জন। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, জ্বর সর্দি ও শ্বাসকষ্টে চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার স্টাফ ও ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ হাওলাদার করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে সোমবার রাতে মারা যান। আব্দুল লতিফ হাওলাদার চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হাকিম হাওলাদার ছেলে। শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাবেক ডিস্ট্রিক্ট নাজির মো. আবু তাহের পাটোয়ারী করোনা উপসর্গ নিয়ে সোমবার গভীর রাতে মারা যান। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ফজলুল হক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি সোমবার রাতে মারা যান।
চাঁদপুর আয়কর অফিসের উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ কুমিল্লা কর অঞ্চলের অন্তত ২০কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। নতুন করে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩ জন, শাহরাস্তিতে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন রয়েছে।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শরপুরে নতুন করে আরও ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২১৮ জন। এদের মধ্যে ১২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শেরপুর সদরে ৪ জন এবং নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় একজন করে রয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গোবিন্দগঞ্জে করোনায় ওসুধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বগুড়ার করোনা ডেডিগেটেট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ীর নাম শ্রীবাস সরকার।
রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাউজানে করোনাভাইরাসে তিন দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের হোটেল জামান পরিবারের আরও একজনের প্রাণ গেল। গত রোববার ভোরে ছোট ভাই নুরুজ্জামান জুনু করোনা আক্রান্তে মারা যাওয়ার পর গতকাল ভোরে করোনায় মারা গেলেন বড় ভাই মালেকুজ্জামান। এ নিয়ে গত ৬ মাসের ব্যবধানে রাউজানের পরিচিত এই পরিবারের সব ভাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও উপজেলার স্বপন মোদক নামে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি গফরগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। তার করোনা পজিটিভ হওয়ায় গতকাল তাকে গফরগাঁও নিজ বাসস্থান থেকে ময়মনসিংহে করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল এসকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সকালে তিনি মারা যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পিরেজপুরের মঠবাড়িয়ায় ২ পুলিশ সদস্যের নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। একজন মঠবাড়িয়া থানার কনস্টেবল ও অন্যজন মঠবাড়িয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ কর্মকর্তা। এনিয়ে উপজেলায় এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য এবং থানার পাচক করোনা আক্রান্ত হলো। উপজেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ জন। এর মধ্যে ২৫ জন সুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গতকাল দুই নারীর দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ২১ জুনে পাঠানো নমুনায় ২ জন নারী আক্রান্ত হয়। বিকাল ৪ টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, উপজেলার মধ্যপাড়া ৫৩ বছরের ও রায়েরবাগে ২৪ বছরের দুই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।