নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ও শেরকোল ইউনিয়নের ৫.৭ কি.মি. গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণে দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল ও তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, এলজিইডির বাস্তবায়নে তাজপুর থেকে নওগাঁ বাজার হয়ে শাহাবাজপুর ৫.৭ কি.মি. এই গ্রামীণ সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অতীতে এটি ছিল অবহেলিত ও চলাচলের অনুপযোগী একটি রাস্তা। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ায় বর্তমানে এটি প্রায় ১২টি গ্রাম ও আত্রাই উপজেলার সাথে সিংড়া উপজেলায় যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সড়কটি পাকা হওয়ার সুফল পেতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। এলাকার ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষাসহ লক্ষাধিক লোকের জীবনমান পরিবর্তন ঘটবে। এলাকাবাসীর জানান, এই এলাকা ছিলো খুবই অবহেলিত, দুর্গম। এক হাটু কাদা মাটি পেরিয়ে সিংড়া পৌর এলাকা কিংবা তাজপুর বাজার যেতে হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে কোনো রকম যানবাহন চলতো না। কৃষকদের নিদারুন কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। বাজার থেকে পণ্য সরবরাহ ও ক্রয় করে বাড়ি আসতে মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে। বর্তমানে খুব সহজে পণ্য সরবরাহ ও বাজারে যেতে পারছেন। শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, অবহেলিত এ জনপদের মানুষ কখনো কল্পনা করতে পারেনি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ব্যবসার উন্নয়ন ঘটবে। মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটলো।
তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, এটি ছিল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এ অঞ্চলের জনগনের প্রাণের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে দুই ইউপি চেয়ারম্যান ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, গ্রেটার রাজশাহী ডিভিশন উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সড়কটি টেকসই করার জন্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয় জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা করেছি। সিসিবল্ক এবং প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তার দু’ধারে বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।