পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভয়াবহ করোনাভাইরাসের থাবা পড়েছে খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়টি এখন নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পজেটিভ হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়। ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন) খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত শনিবার ২০ জনের পরীক্ষা করানো হলে তাদের মধ্যে ১৮ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এছাড়া রোববার ও গতকাল আরও বেশ কয়েকজনের পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ৯০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরীক্ষার ফল পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে আছেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, একজন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম, মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীসহ মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন শাখা-উপশাখার কর্মকর্তা-কমচারীরা।
সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে করোনা আতঙ্কে সচিবের দফতর লকডাউন করা হয়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরও আক্রান্ত হওয়ায় দফতর লকডাউন। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দফতরও বন্ধ। যদিও তিনি অনলাইনে ভার্চুয়ালি সবকিছু করছেন। সব ফাইল বাসায় বসেই স্বাক্ষর করছেন। কোন ফাইল জমা নেই বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। গতকালও বিমানবন্দরে গিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনা প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, একের পর এক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পুরো মন্ত্রণালয়ে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দিক-নির্দেশনা, বাজেট প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিসহ নানা জরুরি কার্যক্রম চলে এ মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা যদি একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে এসব কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং এভাবে চলতে থাকলে গোটা স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই নয়; স্বাস্থ্য অধিদফতরেরও একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পঞ্চাশের অধিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে অফিস করছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ে যাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে অফিস শুরু করেছেন। আবার নতুন করে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এতে কার্যক্রমে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে জরুরি ফাইলসহ সব ধরণের ফাইল বাসায় বসেই স্বাক্ষর করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।