পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর সোনাগাজীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাফনে অংশগ্রহণ করায় মাওলানা নূরুল্যাহ নামের এক ইমামকে চাকরিচ্যুত এবং নামাজ পড়াতে গেলে বের করে দেয়া হয়েছে। তিনি সোনাগাজী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বক্স আলী ভ‚ঁইয়া বাড়ী জামে মসজিদে দায়িত্বরত ছিলেন।
জানা যায়, ফেনী-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর চাচা সোনাপুর ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা জিয়াউল হক গত বুধবার করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যার দাফনে অংশগ্রহণ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোনাগাজীর কাফন-দাফন টিম। সে টিমের একজন সদস্য হিসেবে মাওলানা নূরুল্ল্যাহও দাফন কাজে উপস্থিত ছিলেন। যার কারণে গত শুক্রবার তাকে ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করে মসজিদ কমিটি।
মাওলানা নূরুল্যাহ ২০১৪ সাল থেকে উক্ত মসজিদে সুনামের সাথে ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউল বলেন, তিনি মসজিদ কমিটির অনুমতি না নিয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত দুইজন ব্যক্তির দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করেন। তাই তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে সাধারণ মুসুল্লিরা বলছেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাফনকার্যে অংশ নেয়ার ইমাম সাহেবকে তার দায়িত্ব অব্যহতি দেয়া নির্দয় আচরণ। মুসল্লীদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল্যাহ বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় করোনাকালীন এই মহাসঙ্কটময় সময়ে সারাদেশে ওলামায়ে কেরাম সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে করোনায় আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন কার্যে এগিয়ে এসেছি। যদি এ কারণে আমার চাকরি চলে যায় তবে তাতে আমার দুঃখ নেই। মানবতার কল্যাণে আমি নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।