পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অর্থনীতিবিদরা করোনা মোকাবিলায় বাজেটে সরকারকে তামাকপণ্যের কর ও দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল তামাক কর বিষয়ক ‘অনলাইন বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০২০-২১’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থনীতিবিদরা। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ২০টি তামাকবিরোধী সংগঠন।
আলোচনায় অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং তামাকবিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বাজেটে তামাক কর ও দাম বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। এতে তামাকপণ্যের ব্যবহার হ্রাসের পাশাপাশি তামাকখাত থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জন করা সম্ভব। এ অর্থ করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত থোক বরাদ্দ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যয় করার সুযোগ রয়েছে। প্রস্তাবিত ২০২০-২১ বাজেটে এসব প্রস্তাব উপেক্ষিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, তামাকের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য তামাকপণ্যের কর ও দাম বাড়াতে হবে। সেটার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। জনস্বাস্থ্য অগ্রাধিকার পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বাজেট অর্থায়নে ব্যাংকিং খাতের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা অর্থনীতির জন্য মোটেও ভালো নয়। তামাকপণ্য থেকে অতিরিক্ত ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব, যা বাজেট অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, তামাকপণ্যের কর ও দাম বাড়ানোর সবচেয়ে বড় সুফল হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে তামাক ব্যবহার শুরু করা থেকে নিরুৎসাহিত করা। তাই দাম বাড়িয়ে তাদেরও তামাকপণ্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হলে এটা তাদের জন্য উপকারই হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা না কমানো এবং গুলের দাম প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি না করায় মানুষের মধ্যে তামাক ব্যবহার কমবে না। তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ না করায় তামাক কোম্পানির লাভ বেড়ে যাচ্ছে। তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপসহ দাম ও সম্পূরক শুল্ক বাড়াতে হবে।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাজেটে তামাকপণ্যের দাম এবং কর বৃদ্ধির মাধ্যমে বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ ছিল। কারণ এ মুহূর্তে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ সারচার্জ এবং সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানো যায়।
যে ২০টি তামাকবিরোধী সংগঠন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন এদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, বিসিসিপি, এসিডি, ইপসা, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, বিএনটিটিপি, বিটা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা, টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ভয়েস, উফাত, তাবিনাজ, ডবিøউবিবি ট্রাস্ট, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা এবং প্রজ্ঞা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।