পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারীতেও চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য থেমে নেই। মানব সেবার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে আতঙ্কে ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকরা। বিশেষ করে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে চাঁদাবাজির নেপথ্যে রাজনৈতিক পরিচয়দানবারী এক নারী রয়েছে। তাছাড়া বিদেশে থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে ওঠানো হচ্ছে বেশির ভাগ চাঁদা।
পুলিশের সূত্র জানায়, সম্প্রতি আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে ১২০ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার এবং নেপথ্যে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অর্ধশতাধিক মামলা।
পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, মোবাইল ট্র্যাকিং আর মোবাইল ফোন অপারেটরদের সহযোগিতা নিয়ে ফোনে হুমকিদাতা চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সহযোগিরা দেশে থেকেই চাঁদাবাজি করছে। অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। চাঁদাবাজদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। একই সাথে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গ্রেফতার করা হচ্ছে অপরাধীদের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, করোনার মধ্যে চাঁদাবাজির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। তাছাড়া পুলিশ ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন। কিছুদিন আগে আইজিপির সাথে পরিবহন নেতাদের বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠকে আইজিপি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় সম্প্রতি মিরপুর, বাড্ডা, খিলগাঁও, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ৬০টি মামলাও হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, মগবাজারের সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, জুরাইনের কাইল্লা আমির, গেন্ডারিয়ার ইমন, রামপুরার ঈশান ও জিসান, মগবাজারের রনি, বাড্ডার শাহজাদা, বিজয়নগর-পল্টনের মোহাম্মদ, কোতোয়ালিতে ইমু বাহিনীর নামে বেশি চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কিছু ফোনকল আসছে বলে তথ্য এসেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১১ মে খিলগাঁও থানায় সাধু, রকি, রিয়াদ ও সোহেল ব্যাপারী এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রকি ও সোহেলকে গ্রেফতার করে। সবুজবাগ থানা পুলিশ গত ৮ জুন চিহ্নিত চাঁদাবাজ অঙ্কুরকে গ্রেফতার করে। চক্রের মূল হোতা সাধু এখনও পলাতক।
সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার কোতয়ালি থানা এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ হাবিবুর রহমান ওরফে টাইগার হাবিবকে গত ১৫ জুন আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে সিআইডি। তার বিরুদ্ধে ইসলামপুর এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগ তার সাথে থাকা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য পরিবহন সেক্টরেও চলছে।
সম্প্রতি টাইগার হাবিব গ্রেফতার হলেও এই চক্রের অন্যরা আত্মগোপনে থেকে মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। পুরান ঢাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করছে।
এদিকে সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পরিবহন ব্যবসায়ীরাও চাঁদাবাজির শিকার। বিশেষ করে একজন নারী নিজেকে রাজনৈতিক দলের নেত্রী দাবি করে টার্মিনালে লোক পাঠিয়ে চাঁদাবাজি করছে। ওই নারীর সঙ্গে নিয়মিত ১০ থেকে ১২ জন চলাফেরা করে। আর তারাই চাঁদার টাকা আদায় করে। অবশ্য পুলিশ বলছে, তাদের তৎপরতায় গত কয়েকদিন ধরে টার্মিনালে চিহ্নিত চাঁদাবাজদের দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া চাঁদাবাজিতে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।