পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক বলেছেন, বিয়ের আইনি বিচ্ছেদের পরও এরশাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল। আমাদের মানসিক বিচ্ছেদ কখনও হয়নি। বিচ্ছেদের পরও উনার (এরশাদ) আবদারগুলো পূরণ করতে হতো। এরিক আমার কাছে আসত। যাওয়ার সময় বলত, ড্যাডির জন্য খাবার নিয়ে যাব। খাবার রান্না করে দিতাম। ভাপা পিঠা, তালের পিঠা খুব পছন্দ করতেন, সেগুলো নিজের হাতে বানিয়ে দিতাম। গতকাল একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়োজন হলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আসবেন এমন ইঙ্গিত দেন।
বিদিশা বলেন, এরশাদের সঙ্গে বিচ্ছেদটা রাজনৈতিক কারণে হয়েছিল। মনের বিচ্ছেদ কখনও হয়নি। মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে উনি চল্লিশ মিনিট হাত ধরে বসেছিলেন। মাপ চেয়েছেন। সুতরাং আমি মনে করি তিনি আমাদের থেকে একেবারে চলে যাননি। এখনও আমাদের মাঝে আছেন। রংপুরের মানুষ অত্যন্ত সহজ-সরল। তারা এরশাদকে খুব ভালোবাসতেন। যাকে বলে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। এরশাদ সাহেবের মৃত্যুর পরও সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। রংপুরের অনেক মানুষ এখনও আমাকে ফোন দেয়। এরিকের খোঁজ-খবর নেয়। তবে এরিকের বাবা যাদেরকে এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছেন তারা কেউ এখন এরিকের খবর নেয় না। ওর জন্ম দিনেও একটা ফোন দেয়নি, উইশ করতে আসেননি। অথচ এরশাদ সাহেব বেঁচে থাকা অবস্থায় এরিকের জন্মদিনে এসে ভিড় করত।
তিনি বলেন, রংপুরের মানুষ যদি কখনও মনে করে আমাকে জাতীয় পার্টিতে প্রয়োজন আছে, তখন দেখব। রাজনীতি তো হুট করে হয় না। প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন-ভালোবাসার প্রয়োজন আছে। সময় হলেই চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
এরশাদের মৃত্যুর খবর ছিলো অবশ্যই কষ্টের ও বেদনার। মৃত্যুর খবরটা আজমীর শরিফ থেকে শুনেছিলাম। তখন প্রথম চিন্তা ছিল এরিক কেমন আছে, কোথায় আছে? ও তো বিশেষ শিশু। এরিকের কথা ভাবতে ভাবতেই কষ্টের সময়গুলো পার করতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।