পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি করোনার থাবা থেকে রক্ষা পায়নি পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্প খাতের ৩৮১ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন শ্রমিক। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য চালু হয়েছে ‘স্টেট অব দ্যা আর্ট কোভিড-১৯ ল্যাব’। আরও কয়েকটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। অনেক কারখানা আইসোলেশন খুলেছে, তবে জায়গা স্বল্পতায় ছোট কারখানা শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে নিজ নিজ বাসায়। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। এটা মানা না হলে শ্রমিক মৃত্যু বলা যাবে না এটা হত্যার শামিল হবে। শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনাকালে প্রতিটি কারখানায় মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। কারখানায় হাত ধোয়া, শারীরিক দূরুত্ব মানার পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গত ৪ জুন আশুলিয়ায় স্টেট অব দ্যা আর্ট কোভিড-১৯ ল্যাব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছিলেন, প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করছি। তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করছে মালিকপক্ষ।
শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, তৈরি পোশাক খাতের ১৫০টি কারখানায় ৩৮১জন পোশাক শ্রমিক এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০২ জন শ্রমিক। বিজিএমইএ’র ৬৫টি কারখানায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭৭ জন আর মারা গেছেন ৪ জন। বিকেএমইএ’র ৩১টি কারখানায় ৯৩ জন আক্রান্ত, সুস্থ হয়েছেন ৭০ জন। বিটিএমএ’র ৩টি কারখানায় ৪ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দু’জন। বেপজার ৫১টি কারখানায় ৭০ জন আক্রান্ত হলেও এখন সুস্থ ৫২ জন। এছাড়া পোশাক কারখানা ছাড়া অন্য ২৪টি কারখানায় ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন।
এ বিষয়ে বিকেএমইএ’র পরিচালক ফজলে শামিম এহসান বলেন, কারখানায় প্রবেশের আগে প্রতিটি শ্রমিকের হাত ধোঁয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের থার্মাল দিয়ে তাপমাত্রা মেপে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কারখানায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। কারখানার ফ্লারেও জীবাণুনাশক ছিঁটানো হচ্ছে।
শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিটি কারখানায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও সুস্থদের তথ্য প্রতিদিন হালনাগাদ করছি। এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্পে ৩৮১ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।