Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় নারী ইউপি সদস্যের স্বামী আওয়ামীলীগ নেতাকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ স্ত্রীর

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২০, ৬:২১ পিএম

মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের নারী সদস্যের স্বামী আ‘লীগ নেতা ইলিয়াচ খাঁ(৫৫) এর নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা বেগম । উপজেলার দাউদখালী ইউপির (১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড) সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসাঃ খাদিজা বেগম আজ রোববার দুপুরে তার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বেগম বলেন, এলাকায় ত্রাণসহ সফলতার সাথে জনপ্রতিনিধির কার্যক্রম পরিচালনা করায় আমি ও আমার স্বামীর জনপ্রিয়তায় ঈশর্^ান্বিত হয়ে এবং আমার প্রতিপক্ষ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে দুশ্চরিত্রা ও মামলাবাজ ৪ সন্তানের জননী এক মহিলাকে ব্যবহার করে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। মামালার বাদী তার প্রতিবেশী ও উপজেলার দেবত্র গ্রামের জাকির হোসেন তালুকদারের স্ত্রী রাবেয়া (৩৫) একজন চরিত্রহীন ও মামলাবাজ। সে এলাকার একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
গত ১০ জুন সন্ধ্যায় আমার স্বামীর দ্বারা তিনি ধর্ষিতা হয়েছে মর্মে স্বামীকে প্রধান আসামী করে ওই নারী থানায় মামলা করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো। কেননা ওইদিন আমি ও আমার দু’পুত্র ও অনার্স পড়–য়া পুত্রবধূ বাড়িতে অবস্থান করেছিলাম। ওইদিন দুপুরের খাবার খেয়ে (১০ জুন) বেলা তিনটার সময় আমার স্বামী পাশের দাউদখালী গ্রামের নিকট আত্মীয় এনায়েত খাঁর মৃত্যুতে জানাযায় শরীক হয়ে রাত ৯টার সময় বাড়িতে ফেরেন। তার অপকর্মের প্রতিবাদ ও কতিপয় নিরিহ লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার ব্যপারে তার পক্ষে না থাকায় এবং থানা হতে একটি মনোনীত শালিশ প্রধান করায় আমার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এদিকে মামলার বাদীনি রাবেয়া সম্পর্কে এলাকাবাসীর বিরুপ মন্তব্য পাওয়া গেছে। রাবেয়ার আপন দেবর জাহাঙ্গীর তালুকদার (৪৫) বলেন, তার অশালীন চলাফেরা ও বিভিন্ন অপকর্ম বাঁধা দিলে আমাকেসহ বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নির্যাতন ও একাধিক মামলায় আসামী করেছে। তার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আমার পিতা আঃ রশিদ তালুকদার (৭৫) স্ট্রোক করে মারা গেছে। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অবসর প্রাপ্ত এমএলএস ও ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ ছগির মিয়া (৬২) বলেন, সামান্য একটি বিষয়ের জের ধরে প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম তিনি ও তার পুত্র শাহাদাৎ হোসেনকে মিথ্যা ছিনতাই মামলা দিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আ’লীগ নেতা ফজলুল হক রাহাত ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো দাবী করে বলেন, ওই মহিলার সাথে এলাকার কারো সাথে বনিবনা নাই। এলাকার নিরিহ লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর বিষয়ে পরিষদ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রেজুলেশন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধŸতন কতৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর আব্দুল হক বলেন- এ মামলার প্রত্যক্ষ কোন স্বাক্ষী নাই। অধিকতর তদন্তের পর বলা যাবে সে ধর্ষিতা হয়েছে কিনা?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ