Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরলে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরে তারের সাথে জড়িয়ে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির মৃত্যু

এ দায় কার? অবৈধ সংযোগ

বিরল (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২০, ৩:৩৯ পিএম

দিনাজপুরের বিরলে অবৈধভাবে মিটার স্থানান্তরিত ও নতুন সংযোগ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরে টু-টুয়েন্টি তারের সাথে জড়িয়ে প্রান গেল এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির। নিহত বিদ্যুৎ মিস্ত্রি উপজেলার ধামইড় ইউপি’র গোবিন্দপুর মেহেরবাগ গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন ওরফে অঘনু’র পুত্র ফারুক হোসেন (৩০)। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদাসীনতা, অনিয়ম ও দূর্নীতিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন উপজেলার অনেক পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মিস্ত্রি ফারুক হোসেন একই ইউপি’র কাশিডাঙ্গা হিন্দু শাহাপাড়া গ্রামের মৃতঃ জশরত চন্দ্র রায়ের পুত্র দিনাজপুর পল্লী বিদ্যু সমিতি-১ এর গ্রাহক গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের বাড়ীর বৈদ্যুতিক মিটার অবৈধ ভাবে স্থানান্তরিত করতে গিয়ে খুঁটির উপরে উঠে। এসময় সে অসাবধনতা বশতঃ ওই খুঁটির উপরে থাকা বিদ্যুতের টু-টুয়েন্টি লাইনের তাঁরের সাথে জড়িয়ে পড়লে তার সাথে সাথে মৃত্যু হয়।
পরে সংবাদ পেয়ে বিরল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ফারুকের লাশ উদ্ধার করে।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে থানা থেকে ঘটনাস্থলে অফিসার এবং ফোর্স পাঠানো হয়েছে । তদন্ত পূর্বক পরবর্ত্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দিনাজপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ এর বিরল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো, আবু নাসেরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ফারুক আমাদের অনুমোদিত কোন ইলেক্ট্রেশিয়ান নয় এবং গ্রাহক গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের মিটার স্থানান্তরের কোন অফিসিয়াল অনুমোদন ছিল না।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেক বিদুৎ গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারসাজি ও যোগ সাজসে এরকম অঅনুমোদিত বিদ্যুৎ মিস্ত্রিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনেক ঝুকিপূর্ন অবৈধ কাজ করে আসছে। অনেকেই জানেন, তাঁরাই পল্লী বিদ্যুতের স্টাফ। গ্রাহকরা বিষয়টি তদন্ত করে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
বাাড়ীর মালিক পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক গোবিন্দ্র চন্দ্র রায় ঘটনার পল থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। বার বার চেষ্টা করে মুঠো ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ