Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেড জোনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নতুন ৬ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বিবেচনা করে সরকার সারা দেশকে এলাকাভিত্তিক জোন হিসেবে ভাগ করেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত বা উপাসনার বিষয়ে নতুন করে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তি ছাড়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ ঘরে ইবাদত বা উপাসনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ব্যতীত অন্য সকল মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
উল্লিখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনো মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
একই সঙ্গে উল্লিখিত এলাকাসমূহে অন্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এ সময়ে সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
অন্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না। সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধমীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনো প্রতিষ্ঠানে ওই সরকারি নির্দেশ লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত বা উপাসনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ৬ মে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদসমূহে সুস্থ মুসল্লীদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাযের অনুমতি প্রদান করা হয়।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতিশীল হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনার চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যেকোনো ছোট বা বড় এলাকাকে রেড, ইয়েলো বা গ্রীন জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত ১২ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Asraful Alam ২০ জুন, ২০২০, ১:৫০ এএম says : 0
    মানুষ বাহিরে অযথা গুরাপিরা এটার ব্যবস্থা আগে হলে ভাল হতো। উপাসনালয় গুলো খোলা থাকলে এত সমস্যাবলী। আর বাকী গুলো অবাদে চলেছে তাতে কোন মাথা ব্যাথা নাই। করোনা কে ভয় না করে আল্লাহ্‌ ভয় করা উচিৎ। আজ অর্থনীতির যে অবস্থা সাধারন মানুষ বাসা ভাড়া দিতে পারছে না। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন মিটাবার জিনিষপত্র সংকট সেই দিকে কারো নজর নাই। শুধু মসজিদ নিয়া চিন্তা। সরকার সকল প্রকার বিল মওকুফ করে দিলে সাধারন মানুষ সস্তির নিস্সাস নিতে পারতো। করনা যা ক্ষতি করতেছে তার ছেয়ে বেশি ক্ষতি টেনশন করে হচ্ছে। তাই আমি চাই সরকার সাধারন মানুষের প্রানের দাবি প্রতিফলন ঘটাবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Chandan Mondal ২০ জুন, ২০২০, ১:৫৫ এএম says : 0
    এই মারন ভাইরাসের প্রোকোপ থেকে মানুষকে বাচাতে পারে একমাত্র নিজের সতর্কতা বাংলাদেশ তথা ভারতের জনগন সতর্কতা অবলম্বন না করার জন্য এই মারন মুখি ভাইরাসের সম্মুখিন হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Mubashshir Ahmad ২০ জুন, ২০২০, ১:৫৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বোঝার মত বিশেষজ্ঞ এখনও জন্ম হয়নি। কারণ, এদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণের নামে যা হচ্ছে, তা অন্যদেশের মানুষ শুনলে তারা রীতিমত হতভম্ব হয়ে যাবে। এদেশে করোনা নিয়ে ব্যবসা হয়, করোনার লাশ নিয়ে ব্যবসা হয়। এদেশের করোনামুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্রাম্পের ফর্মূলা, টেস্ট বন্ধ করে দেওয়া। এছাড়া আর কোনো পন্থা দেখা যাচ্ছে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Moin Ahmed ২০ জুন, ২০২০, ১:৫৬ এএম says : 0
    এসব বার্তা দিলেও পাবলিক সাবধান হবেও না,।নিজেই নিজেকে বাঁচানোর জন্যও কোন নিয়ম-কানুন মানবেও না। প্রতি পাড়ায় মহল্লায়, চায়ের দোকানে, হোটেলে আড্ডা আর বাজারে প্রচুর ভির আমারও কথার প্রমাণ দেয়। করোনা ভাইরাস নিয়ে পাবলিকের কোন ভয় আছে বলে মনে হয় না,।১ কোটি আক্রান্ত হলেও ভয় পাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Jangir Alom ২০ জুন, ২০২০, ১:৫৬ এএম says : 0
    আমরা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে কমবেশি সবাই অবগত এবং এও জানি আমাদের সরকারের সক্ষমতা কতটুকু কাজেই সরকারের উপর ডিপেন্ড না করে নিজে সচেতন হই হায়াত মউত একমাত্র আল্লাহর হাতে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ