Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপসর্গে মৃত্যু ১৮

রেড জোন বিভিন্ন এলাকায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

সারাদেশে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে মাদারীপুর ও লক্ষীপুরে ৪ জন করে; চাঁদপুরে ৩; চট্টগ্রাম, যশোর ও মৌলভীবাজারে ২ জন করে এবং বরিশালে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় নতুন করে লকডাউন চলছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন (৬০)। রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা এই রোগী গত বৃহস্পতিবার করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় মারা যান আবু তাহের (৬৯) নামে আরও একজন। তিনি করোনা উপসর্গ ছাড়াও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন।
যশোর ব্যুরো জানায়, করোনা উপসর্গ নিয়ে যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যশোরে এ পর্যন্ত উপসর্গে ৯ ও করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮১।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, গত বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন দু’জনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন যশোর শহরতলির নওদাগ্রামের কাইউম বিশ্বাসের ছেলে সাদু বিশ্বাস (৩০) ও ঝুমঝুমপুরের মৃত কিসমত আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৫০)। ওই দু’জনই বৃহস্পতিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে মারা গেছেন ১ জন। বিভাগে শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৩০০। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৯১ জন।
গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য জানান, শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩০০। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪০। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনসহ সুস্থ হয়েছেন মোট ৬৯১ জন। বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৪৫৮ জন। অন্যান্য দিনের মতো গত ২৪ ঘণ্টায়ও ৮টি জেলার মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ১০৩ জন শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের ৫টি ল্যাবে করোনা আক্রান্তদের শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় দুইটি, বগুড়া জেলায় দুইটি ও সিরাজগঞ্জে একটি। এই ৫টি ল্যাবে বিভাগের ৮টি জেলার সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তদের শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাবনার ল্যাবটি চালুর পর্যায়ে রয়েছে।
জানা গেছে, বিভাগের সর্বোচ্চ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায়। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯২৩। পরের অবস্থানে রয়েছে পাবনা জেলা। সেখানে শনাক্তের সংখ্যা ২৬১। ২৪০ জন আক্রান্ত নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে জয়পুরহাট। এছাড়া রাজশাহী জেলায় ২০০ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৬, নাটোরে ১১৬, নওগাঁয় ২৩৬ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ডা. ইমদাদ উল্লাহ খান। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হাসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যার আগে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বিকেলে তাকে আইসিসিইউতে নেয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। তার নমুনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ডা. ইমদাদ বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এদিকে গতকাল দুপুর আড়াইটার পরে করোনা ওয়ার্ডে মারা যান ৩৬ বছর বয়সী শামীমা বেগম। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জের রায়পাশা এলাকার মো. আলাউদ্দিনের স্ত্রী। তার নমুনা সংগ্রহ করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান করোনায় আক্রান্ত ৫৫ বছর বয়সী বানরীপাড়ার আব্দুল বারেক।
গতকাল সকাল ৭টায় করোনা ওয়ার্ডে মারা যান ৬৬ বছর বয়সী বাকেরগঞ্জের এনামুল হক। তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরো ৮৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে ৩৩, পটুয়াখালীতে ২৩, ভোলায় ১৭, ঝালকাঠিতে ১০ ও বরগুনায় ১ জন। তবে পিরোজপুরে নতুন কেউ আক্রান্ত হয়নি।
নতুন আক্রান্তসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা বরিশালে ১ হাজার ৯০, পটুয়াখালীতে ২২২, ভোলায় ১৭৬, ঝালকাঠিতে ১১১, বরগুনায় ১৪৬ এবং পিরোজপুরে ১৩৩।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলা ইতোমধ্যে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ২৭টিই রোড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে মহানগরীতে লকডাউন কার্যকরে উদ্যোগ নেই।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, চাটখিল পৌরসভার মেয়র ও তার স্ত্রীসহ নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫১ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬৩২।
গতকাল সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার এ তথ্য জানান। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৩২, বেগমগঞ্জে ৪, কোম্পানীগঞ্জে ৪, কবিরহাটে ৬, চাটখিলে ২, হাতিয়ায় ২ ও সোনাইমুড়ীতে ১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৫৪ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ১৯৩৯ যার মধ্যে শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম কোভিড হাসপাতালে ৩৩ জন। জেলায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৫৪৩, বেগমগঞ্জে ৫৬৪, কবিরহাট ১২৯, চাটখিলে ১১০, সোনাইমুড়ী ৮৮, সেনবাগে ৮৪, সুবর্ণচরে ৫৯, কোম্পানীগঞ্জ ৪৩ ও হাতিয়ায় ১২ জন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পার্সন ও মেডিকেল অফিসার ডা. নিলিমা ইয়াছমিন জানান, উপজেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩২জন। যাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য, চরমটুয়া এলাকার একই বাড়ির ২জনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছে। আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হবে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পার্সন ও মেডিকেল অফিসার ডা. তামজিদ হোসেন বলেন, চাটখিল পৌরসভার মেয়র ও উনার স্ত্রী নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১১০জন।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক তরুণীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মোছা. মুরসালিন (২০), জালাল উদ্দিন (৭৫) ও মরিয়ম বেগম (৬৫)। এ নিয়ে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ময়মনসিংহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হল। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ২০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম মসিউল আলম জানান, মুরসালিন নামের ওই তরুণী গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এস কে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল ভোর পাঁচটায় তার মৃত্যু হয়। তিনি নান্দাইল উপজেলার পাচরুখি গ্রামের বাসিন্দা। একই হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১১টায় জালাল উদ্দিন নামে অপর এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি করোনা পজিটিভ হওয়ার পর গতকাল ভোরে এই হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। তিনি হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শহরের সেহড়া এলাকার মরিয়ম বেগম (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে এস কে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।
চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে দুই এবং মতলব দক্ষিণে একজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চাঁদপুর শহরের ট্রাংক ঘাট ম্যাচ ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম সাইফুল (৬৫) গতকাল দুপুর দেড়টায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যান। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় প্রিমিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদরাসা রোডে করোনা উপসর্গ নিয়ে জামাতার বাসায় মারা যান আলহাজ শামসুল হক বহরদার (৭৫)। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে বালিয়া ইউনিয়নের সাবদী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান। পরে উপজেলা দাফন কমিটি আঁচলছিলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পাদন করে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, নারায়ণগঞ্জে আরও ১১৮ জনের নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৪৪৯০ জন। নতুন করে ১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০। মোট সুস্থ হয়েছে ১৯৮৬ জন। নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস গতকাল এসব তথ্য জানায়।
মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মাগুরায় গতকাল নতুন করে আরও ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় শনাক্ত ৫৮ জন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩৪ জন। মারা গেছে ২ জন। নতুন শনাক্ত ২ জনের বাড়ি সদরের খানপাড়া এলাকায়। আক্রান্তরা একই পরিবারের সদস্য বলে জানা যায়।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে চারজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এরা হলেন- থানতলী এলাকার আজাদ খান, রাস্তি এলাকার আলমগীর বেপারী, দূর্গাবর্দী এলাকার শিক্ষক মো. আনিচুর রহমান মিণাল তালুকদার, হরিকুমারিয়া এলাকার রকিব উদ্দিন। এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে সদর উপজেলার হাজির হাওলা এলাকার কাওসার মিয়া নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ও গতকাল সকালে এরা মারা যান। এ নিয়ে মাদারীপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ১২ জন।
মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল এলাকার ওয়াহিদ মিয়া ও আলতা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ও গতকাল সকালে তাদের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ভানুবিল এলাকার ওয়াহিদ মিয়ার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাস্তায় মারা যান। এলাকার আলতা মিয়া ও রমিজ আলী ওয়াহিদ মিয়াকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য একটি ভাড়া করা গাড়িতে নিয়ে বের হন। পরে লাশ নিয়ে ফেরার পর গতকাল সকাল ৭টায় বাড়িতে মারা যান আলতা মিয়া। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অপর সহযোগিতাকারী রমিজ আলী। তাদের বয়স ৫৫ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গে মারা গেলেন ২৬ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন, মোট আক্রান্ত ২২৯ এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৫ জন।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে নতুন করে দুই পুলিশসহ ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে সখিপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩৯৯ জন আক্রান্ত হলো। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বমোট ৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মির্জাপুরে এক পুলিশসহ ১৫, টাঙ্গাইল সদরে এক পুলিশসহ ৩, সখিপুরে ১ ও ধনবাড়ীতে ১ জন রয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল সকালে বিষয়টি জানান।
লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, লক্ষীপুর সদর, রামগতি ও রামগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ নিয়ে নতুন চারজনসহ মারা গেছেন অর্ধশতাধিক। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রামগতির চর আবজালের আবদুল মোমিন, রামগঞ্জের দরবেশপুরে মোরশেদ আলম এবং আঙ্গারপাড়ার বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া সকালে লক্ষীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যায় আরো এক ব্যক্তি। নিহতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে নতুন করে জেলায় আরো ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন ২৫৪ জন। অপরদিকে লক্ষীপুর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ এ চারটি পৌরসভা এবং কমলনগর ও সদরে ৭টি ইউনিয়নসহ ১৫টি ইউনিয়নকে রেড জোন চিহ্নিত করে ৪র্থ দিনের মতো লকডাউন চলছে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষক ও অফিস সহকারীসহ নতুন করে অরও ১৫ জন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষক ও এক অফিস সহকারীসহ ৫, রানীনগরে ৪, মহাদেবপুরে ২, সাপাহারে ২ এবং পোরশায় ২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৬।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় গতকাল দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন, কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামের রুস্তম আলী সরদারের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংক খুলনার দৌলতপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আসাদুল ইসলাম (৪৫) এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের ইউছুফ আলী মোড়লের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংক খুলনা জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার শাহিন হোসেন (৩৫)। ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার বিষয়টি জানান। নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে সাতক্ষীরায় আরো ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
শিবচর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরের শিবচরে রেডজানের আওতায় পৌরসভার ৩ টি ওয়ার্ড ও ৮টি ইউনিয়নে লকডাউন চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ১৩ পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ এসআই, ৪ এএসআই ও কনস্টেবল ৬ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ