Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিশ্রুতির বন্দিদশায় আইসিইউ-সিসিইউ

করোনাভাইরাস এবং চিকিৎসাসেবা ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থায় জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা সারাবিশে^র মধ্যে সর্বনিম্ন। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। ল্যাবে নমুনার স্তুপ জমা হয়ে আছে। 

গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান দুর্দশায় প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার জনগণের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে ধাপ্পাবাজী করেছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৭টিতেই আইসিইউ নেই। করোনার সময়ে মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বাস্থ্যখাতের বিপন্ন ও ভঙ্গুর ছবি প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, চলতি মাসেই জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিবিড় আইসিইউ ও হৃদরোগীদের জন্য সিসিইউ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রতিশ্রুতির ছয় বছর পর ২০২০ সালে এসেও আওয়ামী লীগ সরকারের সেই একই প্রতিশ্রুতির বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়নি।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে গত এক দশক ক্ষমতাসীন সরকার জনগণকে কথিত উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছে। অথচ এই সময়ে দুর্নীতির-অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। এই করোনার প্রকোপের মধ্যেও সরকার বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ওপর তাদের প্রণীত সকল কালাকানুন নির্বিচারে প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, কেউ আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিলে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাতে তুলে নিয়ে গুম করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার কারণে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিএনপি এবং ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ‘ব্ল্যাক ল’ প্রয়োগের মাধ্যমে গুম, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার এখন এই ভয়াল করোনার মধ্যেও নিত্য দিনের ঘটনা।
রিজভী বলেন, যদি বলা হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য নয় বরং একজন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করায় দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাহলেও দেশের জনগণ সাক্ষী, মৃত মানুষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, মৃত মানুষকে অপবাদ দেয়া, এমনকি কবরে হামলা করার মতো অশোভন, অধার্মিক এবং নোংরা কাজটি ক্ষমতাসীন দলের লোকরাই করে আসছে।



 

Show all comments
  • এক পথিক ২০ জুন, ২০২০, ৩:৩৬ এএম says : 0
    "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার কারণে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।" - কেন বাংলাদেশে এমনটি হয়? এর প্রধান কারণ একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাদের পদলেহিতা এবং নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে অজ্ঞতা। পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলোতে সামাজিক মাধ্যমে এ ধরণের মন্তব্যের পেছনে দৌড়াবার সময় ও মানসিকতা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেই; জনগণের উন্নত সেবা প্রদান এবং তা উন্নততর করার বিষয় নিয়েই এরা বেশি ব্যস্ত। এটাই কি হওয়া উচিত নয়?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ