Inqilab Logo

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪, ৩১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে-স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২০, ৮:০৬ পিএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির স্থায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের একটি বক্তব্য সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে প্রফেসর আজাদ দাবি করেছেন, তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনেকে না বুঝেই সমালোচনা করছেন। তিনি যা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয়, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সমন্বয় ডা. মো. জাহাঙ্গির কবির শুক্রবার (১৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসে মহাপরিচালক ডা. আজাদ বলেছেন, স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় এবং বিশ্বের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ বিশেষজ্ঞগণের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি সারাবিশ্বে এক দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। একটি সফল টিকা আবিষ্কার এবং পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সফল প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে করোনার অস্তিত্ব থাকবে। ফলে এটি এক বছরের বেশী এমনকি দুই বা তিন বছর বা এরও বেশী সময় স্থায়ী হতে পারে। যদিও আমরা মনে করি, সংক্রমণের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে।

মহাপরিচালক বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল এবং অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অপরপক্ষে করোনাভাইরাসও একটি অত্যন্ত ছোয়াচে ভাইরাস। এ কারণে অসতর্ক চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে এ দেশে সংক্রমণের হার মোকাবেলা করা কঠিন। তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক কর্মকা- বন্ধ রাখলে কর্মহীনতা, আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়া এবং অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণেও ব্যাপক অপুষ্টি, রোগবালাই ও মৃত্যু ঘটতে পারে। সে কারণে জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমনের উচ্চহার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করলে অনেক লুক্কায়িত এবং মৃদু কেসও সনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যায় পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৯ জুন, ২০২০, ১১:০৩ পিএম says : 0
    মাননীয় মন্ত্রী ও আপনার বক্তব্য বুঝান নাই। বাংলাদেশে আমাদের মত মানুষ আপনাকে বুঝার ক্ষমতা নাই। আপনি জীবাণু বিজ্ঞানীর মত ভবিষ্যৎ বাণী দিবেন দুই তিন বসর করোনা থাকবে। আন্তর্জাতিক কোন সংবাদ মাধ্যমে কোন জীব বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সস্থা পক্ষেও কেও বলেননি আপনি মনগড়া কাহিনীর মত বললেন। আপনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য খ‍্যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সরকারের মারাত্মক খতি করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্র পরিচালনা কারী গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তিরা আপনার প্রতি কতটুকু আস্তা বিশ্বাস রাখেন জানিনা। মানুষের জীবন বাচাতে সরকার প্রধানের আর কি করার বাকী আছে বলুন। গজবে এলাহী বিপদের দিনে স্বাস্থ্য সেবার চিকিৎসার করুন চিত্রের জন্য দায়ী কে?????। মৃত্যুর মিছিল সারাবিশ্বে হচ্ছে। আমরা বাকী থাকবো কেন। আপনি বললেন আপনার বক্তব্যের ভুল ব‍্যাখ‍্যা করা হয়েছে। সত্যি আপনার মত জ্ঞানী পন্ডিত দের ভুল জায়গাই বসিয়ে আজ জনগণের সামনে সরকার কে ব‍্যাখা দিতে হচ্ছে। আপনি সত্যিই শক্তিশালী। ক্ষমতা ধর ব‍্যাক্তি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ